প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
নির্দেশিকার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা তথা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ বলে পরিচিত নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে মনে করে না। এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। কোনও একজন নয়, আমাদের জাতির অনেক পিতা (ফাউন্ডিং ফাদারস) আছে। ইউনুস সরকারের এই হটকারী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ তথা গোটা বাঙালি সমাজে তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে আওয়ামি লিগ। শেখ হাসিনার দলের তরফে অফিস সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাঙালি জাতির ইতিহাস মুছে ফেলার মাধ্যমে বিভেদকামী ও অপশক্তির রাজনীতিকে পরিপক্ক করা হল। এই অভিপ্রায় মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সরকারের এই হীন পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশের টাকা (কারেন্সি নোট) থেকে মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পর সে দেশের সব নোটেই রয়েছে মুজিবুর রহমানের ছবি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা উৎখাতের দিন থেকেই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও নামাঙ্কিত স্থাপত্য-প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কাজ শুরু হয়। মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে সেখানে প্রস্রাব করার মতো ঘৃণ্য ছবিও সামনে আসে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের এই পর্বে বাদ যায়নি ঢাকার ধানমণ্ডির সংগ্রহশালাটিও। ১০ নম্বর ধানমণ্ডি রোডের ওই বাড়িটি ছিল বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুজিবুর রহমানের বাসস্থান। ওই বাড়িতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে (শেখ হাসিনা ও রেহেনা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান) মুজিবুরকে খুন করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকজন অফিসার ও জওয়ান। তারপর থেকেই বাড়িটি জাতীয় সংগ্রহশালা হিসেবে সংরক্ষিত। ভাঙচুরের তাণ্ডবের পর ওই বাড়িতে লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
বাংলাদেশের নয়া সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে জাতীয় দিবসগুলি বাতিলের তালিকায় ঢুকছে, তা হল, ৭ মার্চ (ইউনেস্কো স্বীকৃত মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস), ১৭ মার্চ (মুজিবুরের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস), ৫ আগস্ট (মুজিবুরের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন), ৮ আগস্ট (বঙ্গমাতা তথা মুজিবুরের স্ত্রী বেগম ফাজিলাতুন্নেসার জন্মদিন), ১৮ অক্টোবর (হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিন), ৪ নভেম্বর (জাতীয় সংবিধান দিবস) এবং ১২ ডিসেম্বর (স্মার্ট বাংলাদেশ ডে)।