বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, কাজিবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া মৌজায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৭ একরের বেশি পৈতৃক জমি রয়েছে। সেখানে প্রয়াত কবির পৈতৃক বাড়িতে টিনের শেড দেওয়া একটি ঘরের (সুনীল স্মৃতি পাঠাগার) তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার ও তার দলবল। তারা লেখকের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, বই, আসবাব, ছবি ফেলে দেয়। তার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। এরপর সেই ঘরে ওএমএসের এক ট্রাক চাল রেখে নতুন তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কবির বাড়ির সামনে জেলা প্রশাসনের তরফে লাগানো সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলা হয়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই বাড়ি দেখভালের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পরই সোহেল হাওলাদার তার দলবল সঙ্গে নিয়ে এসে দাবি করে, লেখকের ওই জমি তার। আওয়ামি লিগের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকেরা এর প্রতিবাদ করায় তাঁদের বাড়িঘরেও হামলা চালায় সোহেল। গোটা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের সবাই জানে। এবিষয়ে মাদারিপুরের জেলা প্রশাসক মহম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে দখল নেওয়ার খবর পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা লেখকের বাড়ি দখলমুক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন মাদারিপুরের সংস্কৃতিক কর্মী ও সাহিত্যপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, দখলদারদের শাস্তি দিতে হবে। ওই বাড়ি দখলমুক্ত করে সেটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে হবে।