প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আলোর উৎসবের আয়োজনে পৌরাণিক অযোধ্যার ছবি হারিয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে অযোধ্যার এখন নবরূপ। রামমন্দির যাওয়ার রামপথের দু ধারে জয়পুরের ধাঁচে একই রঙের নানা দোকান। বাতিস্তম্ভে রামতিলক। যদিও গত ২২ জানুয়ারি ঘটা করে রামমন্দির উদ্বোধন হলেও মন্দির এখনও অসম্পূর্ণ। ৬৭ একর জুড়ে তৈরি মূল মন্দির সহ পুরো পরিসর তৈরির কাজ চলছে। প্রবেশদ্বারের দুপাশের থামে এখনও পেনসিলে আঁকা সপ্তঘোড়ার সূর্যরথ, পৌরাণিক মূর্তি। পরে যা কেটে নকশা ফুটিয়ে তোলা হবে। তবুও প্রতিদিন লাখো লোকের ভিড় অযোধ্যায়।
ভাস্কর অরুণ যোগিরাজের তৈরি অপূর্ব সুন্দর রামলালা মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দর্শনার্থী ভক্তদের ভিড় থেমে নেই। সকালে সোনায় মোড়া মন্দিরের দরজা খোলার অপেক্ষা। মোবাইল, পার্স সহ ইলেকট্রনিক যাবতীয় জিনিসপত্র রেখে আসতে হয় দূরে। যেতে হয় খালি পায়ে। রামমন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম দীপোৎসব। যা দেখতে আজ কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলেই প্রশাসনের মত। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বলছে, স্রেফ চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে গোটা উত্তরপ্রদেশে যেখানে ৩৩ কোটি পর্যটক এসেছেন। স্রেফ একা অযোধ্যায় ১১ কোটি। যা ছাপিয়ে গিয়েছে বারাণসীকে। কাশী বিশ্বনাথ আর বারাণসীতে গিয়েছেন ৪ কোটি ৬১ লক্ষ। আগ্রার তাজমহলে পর্যটকের সংখ্যা মাত্র ৬৯ লক্ষ ৮০ হাজার। দিনে দিনে ভক্ত, পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে অযোধ্যায়। তা সে যতই মন্দির হোক না অসম্পূর্ণ।
আজ অবোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার ভলান্টিয়ার জ্বালাবেন দ্বীপ। তারপর দীপোৎসবের বাকি সেলিব্রেশনে মালয়েশিয়া, মায়ানমার, থাইল্যাণ্ড, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়ার শিল্পীরা অভিনয় করবেন রামলীলার। পাঁচ হাজার পুলিস কর্মীর নজর থাকবে পুরো দীপোৎসবকে সুষ্ঠুভাবে পালনের। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির পর থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা জিএসটি আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। রামমন্দির দর্শনে সাধারণের আগ্রহও মেটাতেও কোনও খামতি রাখছে না ট্রাস্ট।