নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: খাদির বিক্রি বহুগুণ বেড়েছে। দেড় লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হয় এখন খাদি গ্রামোদ্যোগে। তাই খাদির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই যুক্ত তাদের উপকার হচ্ছে রোজগারে। এবং আরও বেশি করে মানুষ জীবিকার সুযোগ পাচ্ছে। স্কিল উন্নয়নের বিশেষ কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ নিয়েছে কেন্দ্র। বিভিন্ন কারিগরি শিল্পে তারা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ পাবে। আত্মনির্ভর ভারত হচ্ছে। মেক ইন ইন্ডিয়া চলছে। প্রতিরক্ষা থেকে প্রযুক্তি। উপকরণ ও পণ্য এখন ভারতেই নির্মিত হচ্ছে। সুতরাং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সুযোগ বাড়ছে। কারখানার সংখ্যা বাড়বে। ডাউনস্ট্রিম ইন্ডাস্ট্রির জোয়ার আসবে। সব মিলিয়ে রোজগারের অভিমুখই বদলে যাচ্ছে। ইউপিএ সরকারের আমলে যে সেক্টরগুলিতে আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি হতে পারে, কর্মসংস্থান বাড়তে পারে সেগুলিতে কোনও নজরই দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি সেদিকেই বেশি করে জোর দিতে। আর তাই এখন লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোজগার মেলায় ৫১ হাজার সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র নতুন চাকরিপ্রাপকদের হাতে তুলে দিলেন মঙ্গলবার। কিন্তু তিনি চাকরি বাদ দিয়ে বিকল্প আয়ের কী কী ব্যবস্থা হচ্ছে, সেই বিস্তারিত তালিকা দিলেন।
সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির জন্য তাঁর সরকার কী পরিকল্পনা নিয়েছে, সেই রূপরেখা পাওয়া গেল না। অথচ কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরে ১০ লক্ষাধিক শূন্যপদ রয়েছে। এই শূন্যপদ কীভাবে পৃরণ হবে? আর কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরির সুযোগ কি আগামী দিনে বাড়বে? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই কর্মপ্রার্থী যুবক যুবতীর। সেই উত্তর পাওয়া গেল না। প্রধানমন্ত্রী সবথেকে বেশি জোর দিলেন স্বনিযুক্তি প্রকল্পে। সেই তাকিলায় তাঁর স্বপ্ন হল, ‘লাখপতি দিদি’ নামক প্রকল্প। যারা কৃষিক্ষেত্রে স্বনিযুক্তির মাধ্যমে রোজগার করবে। কিন্তু সরকারি চাকরির দরজা অনেক বেশি করে খুলবে কবে? মোদির ভাষণে সেটা নিয়ে কোনও আশ্বাস বা উত্তর পাওয়া যায়নি।