বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সমাজমাধ্যমে আন্নার তুতো ভাই সুনীল জর্জ কুরুভিল্লা জানিয়েছেন, নিজের জীবন দিয়ে হয়তো তাঁর বোন অনেকের জীবন বাঁচিয়ে দিয়ে গেল। তিনি আরও জানান, কয়েক বছর আগে আন্নার সামনে দুটো পথ খোলা ছিল। এমবিএ কিংবা সিএ। কিন্তু তাঁর পরামর্শ না মেনে বোন সিএ নিয়ে পড়াশোনার পথ বেছে নেয়। এক মাসের মধ্যেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।
আন্না যে সংস্থায় চাকরি করতেন,তাদের তরফে তরুণীর মৃত্যুর পরেও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তরুণীর শেষকৃত্যে ওই সংস্থার কোনও কর্মীও উপস্থিত হননি। যদিও ওই সংস্থার ভারতীয় শাখার চেয়ারম্যান রাজীব মেমানি জানিয়েছেন, তরুণীর শেষকৃত্যে সংস্থার কেউ উপস্থিত না থাকা, তাঁদের সংস্থার সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। কর্মক্ষেত্রে ভালো পরিবেশ ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি কাজ করে যাবেন বলেও জানান মেমানি।
মেয়ের মৃত্যুর পর ওই সংস্থার কর্মসংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আন্নার মা। মেমানিকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে মেমানি জানান, একজন বাবা হিসেবে তিনি তরুণীর মায়ের ক্ষোভের বিষয়টি বুঝতে পারছেন। তিনি তরুণীর পরিবারের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তরুণীর মা অভিযোগ করেছিলেন, ওই সংস্থায় অতিরিক্ত কাজ করাকে উত্সাহ দেওয়া হতো।
এদিকে, ওই বহুজাতিক সংস্থার কঠোর কর্মসংস্কৃতি নিয়ে ভারতপে-র প্রতিষ্ঠাতা অশনীর গ্রোভারের একটি পুরনো ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি জনপ্রিয় টিভি শোয়ে গ্রোভার জানিয়েছিলেন, তিনিও প্রথম জীবনে ওই সংস্থায় কাজের জন্য উদগ্রীব ছিলেন। কিন্তু প্রথমদিন অফিসে ঢুকেই তিনি কিছুক্ষণ পর অসুস্থতার ভান করে বেরিয়ে আসেন। তিনি জানান, অফিসের পরিবেশ ছিল একেবারেই প্রাণহীন। আর কর্মীরা কার্যত মৃতদেহের মতো ব্যবহার করছিলেন।