বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আক্রমণ করেছেন জগনমোহন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তিরুপতির বদনাম করছেন চন্দ্রবাবু। জগন্মোহনের দল তদন্তের আর্জি জানিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী ওয়াইএস শর্মিলা।
চন্দ্রবাবুর দাবি ঘিরে হিন্দু সমাজের ভাবাবেগে আঘাতের প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। তারা সরকারের কাছে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এরইমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রক অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। মন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বলেছেন, ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তিনি এব্যাপারে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশে খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিষদের কাছেও আমরা রিপোর্ট চেয়েছি। গোটা দেশের হিন্দু সমাজ এই নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন এবং ক্রুদ্ধ। এদিকে, চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন। তিনি পাল্টা নিশানা করেছেন টিপিপি প্রধানকে। জগন্মোহনের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিরুপতির বদনাম করছেন চন্দ্রবাবু। গোটা বিশ্বে তিরুপতির মানসম্মান ধুলিসাৎ করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ এতদিন পর আগের সরকারের আমলের লাড্ডু যোগাড় করেই গুজরাত ল্যাবে পাঠানো হল? আর পাওয়া গেল পশুচর্বি? এই কাঁচা চিত্রনাট্য অন্ধ্রপ্রদেশবাসী বিশ্বাস করছে না। বরং তিরুপতি অপমানে গোটা রাজ্য ফুঁসছে। চন্দ্রবাবু কেন অন্ধ্রপ্রদেশের রক্ষাকর্তা তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বরকে এভাবে অপমান করছেন? এই দাবিতে কিছুটা হলেও আবার ব্যাকফুটে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সব দায় চাপিয়েছেন গুজরাত ল্যাবের দিকে। বলেছেন, ল্যাবের রিপোর্ট কেন মিথ্যা বলবে? তবে শুক্রবার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস (টিটিডি) ওই অভিযোগ সায় দিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তিরুপতির পরিচালন পর্ষদে পূর্বতন সরকারের আমলে মুসলিম সদস্য নিয়োগ করা হয়। আর তারপরই এই অনাচার! জগন্মোহনের দলের বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ, এই অভিযোগ চন্দ্রবাবুকে করতে বলুন! দেখা যাক মুসলিম সদস্যের উপর উনি দোষ চাপাতে পারেন কিনা!