মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, পাঁচ দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট। তাই এখন ভোট পর্বের মধ্যে এই মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মাবকাশের ছুটির পরেই তা শোনা হবে। ফলে শুক্রবারের শুনানিতে স্বস্তিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আবেদনকারী তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের (এডিআর) দাবি মতো তাদের ফর্ম ১৭-সি’র তথ্য আপলোড করতে হচ্ছে না।
সাত দফায় হচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণ পর্বের ভোটদানের হার নিয়ে শুরু হয় বিভ্রান্তি। ভোটের দিন কমিশন ভোটদানের হার যা জানিয়েছিল, ১১ দিন পর তা পাল্টে যায়। বেড়ে যায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ ভোট। আর তাতেই গরমিলের অভিযোগে সন্দেহর আঙুল উঠতে থাকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, এক একটি পর্বে ভোট মিটলেই কমিশন তার ওয়েবসাইটে বুথ ভিত্তিক যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করুক। জানাক, ঠিক কতজন ভোট দিয়েছেন।
এদিন শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী মণিন্দর সিং বলেন, বিরোধীরা কেবলমাত্র সন্দেহ আর আশঙ্কার ভিত্তিতে মামলা করেছে। যার বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই। অহেতুক জটিলতা তৈরি করছে। আর তার জন্যই ভোটের হার কম হচ্ছে বলেও আদালতে দাবি করেন তিনি। বলেন, অহেতুক ইভিএম নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে।
পাল্টা সওয়ালে মহুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং এডিআরের আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সন্দেহ নয়। স্বচ্ছতার দাবিতেই আমাদের আবেদন। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের কাছে ফর্ম ১৭-সি থাকে। যার মধ্যে লেখা থাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ। প্রত্যেক রিটার্নিং অফিসারের কাছে গড়ে ১ হাজার ৯১১টি ফর্ম ১৭-সি থাকে। সেগুলি আপলোড করতে আপত্তি কোথায়? আধুনিক প্রযুক্তিতে এই সময়ে যা অনায়াসেই করা যায়। তাছাড়া কমিশনই বা এত বিরোধ করছে কেন?
যদিও সেই সওয়াল কাজে দিল না। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত রীতিমতো ভৎর্সনার সুরে শুনানির পর্যবেক্ষণে বললেন, এ ধরনের পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন মোটেই গ্রাহ্য করা উচিত নয়। জনস্বার্থের নামে এসব আসলে পার্সোনাল ইন্টারেস্ট, পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট, পয়সা ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। তাছাড়া কমিশন যখন বলছেই ভোটার টার্নআউট অ্যাপের তথ্য আনুমানিক। নিঁখুত নয়। তাছাড়া কোনও একটা প্রতিষ্ঠানের ওপর তো বিশ্বাস রাখতেই হবে। তাই এই মামলা খারিজ করছি না ঠিকই। তবে এখনই হস্তক্ষেপও করছি না। গ্রীষ্মাবকাশের পর শোনা হবে।