মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
রাত পোহালেই আজ, শনিবার গুরুগ্রামে ভোট। স্বাধীনতার পর থেকেই গুরুগ্রাম কার্যত কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। সেটা অবশ্য এখন অতীত। ২০১৪ সালে মোদি ঝড়ে ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছুই। প্রথমবার পদ্ম ফোটে এই কেন্দ্রে। তাও আবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ রাও ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের হাত ধরে। তিনি ওই বছর বিজেপিতে যোগ না দিলে কী হতো বলা মুশকিল! ২০১৯ সালেও ইন্দ্রজিতের উপর আস্থা রাখেন মোদি-শাহরা। জিতেও যান তিনি। কেন্দ্রে মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। এবারও বিজেপির বাজি ইন্দ্রজিৎ। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বলিউড তারকা রাজ বব্বরকে। গত বছরের আগস্ট মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তেতে উঠেছিল গুরুগ্রামের নুহ বিধানসভা এলাকা। বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল গুরুগ্রাম শহরেও। নুহবাসীর সেই ক্ষত এখনও শুকোয়নি। যা কিছুটা হলেও রক্তচাপ বাড়িয়েছে ইন্দ্রজিতের। তার উপর রাজ বব্বরের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় বব্বর। এই প্রথম তিনি হরিয়ানা থেকে লড়বেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডার ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। আবার সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদবেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন একটা সময়। ২০০৮ সালে যোগ দেন কংগ্রেসে। ২০০৯ সালে ফিরোজাবাদ কেন্দ্র থেকে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদবকে হারিয়ে দেন। ২০১৪ সালে গজিয়াবাদ থেকে কংগ্রেস প্রার্থী করে রাজ বব্বরকে। কিন্তু বিজেপির ভি কে সিংয়ের কাছে হারতে হয়। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ফতেপুর সিক্রি থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপির রাজকুমার চাহারের কাছে চার লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন বলিউড অভিনেতা।
এবার গুরুগ্রাম কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রাজ বব্বরকে। কেননা, সেখানে এবার জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) প্রার্থী দিয়েছে। লড়ছেন গায়ক রাহুল যাদব। তিনি জিততে যদি নাও পারেন, তবে জয়-পরাজয়ের বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন। যাদব কতটা ভোট নিজের অনুকূলে টানবেন, সেটার জল এখন থেকে মাপতে শুরু করেছে কংগ্রেস, বিজেপি দুই পক্ষই।