মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
সম্বলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সাতটি বিধানসভা রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি আসন রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি চারটে রাজ্যের শাসক দল বিজেডির। সেদিক থেকে দেখলে পাটিগণিতের হিসেবে খানিকটা এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দল। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, সম্বলপুরের ভোটের অঙ্ক এতটাও সহজ নয়। কারণ, বিগত ১৫ বছরে বারবার মন বদলেছেন ভোটাররা। কোনও দলই পরপর জয় পায়নি। তবে এবার এই মিথ ভাঙতে তত্পর গেরুয়া শিবির। ২০১৯ সালে এই আসনে জিতেছিলেন বিজেপির নীতীশ গঙ্গা দেব। এবার তাঁকে আর টিকিট দেয়নি দল। বরং ১৫ বছর পর ভোটের ময়দানে নামানো হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। বছর দেড়েক ধরেই মাটি কামড়ে পরে রয়েছেন এই হেভিওয়েট প্রার্থী। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ভোটের রাজনীতিতে না থাকায় দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তেমন কোনও প্রভাব নেই। তাঁকে মূলত নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপির দখলে থাকা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কদের উপরই। কিন্তু, তাতেই গোল বেঁধেছে। কারণ, তিনটি জায়গাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির। এরসঙ্গে বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে, গ্রামীণ এলাকাও। কারণ, সম্বলপুর শহরের বাইরে বেরলেই তেমনভাবে বিজেপির প্রচার চোখে পড়ছে না। গ্রামীণ এলাকায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্য বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিজেডি প্রার্থী প্রণব প্রকাশ দাসকে।
বিজু স্বাস্থ্য কল্যাণ প্রকল্প, প্রসূতি মায়েদের মমতা প্রকল্প, বিদ্যুতে ছাড়ের মতো বিষয়গুলিকে হাতিয়ার করছে রাজ্যের শাসক দল। এর পাশাপাশি বিজেডির সাংগঠনিক সচিব হওয়ায় নিচুস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে প্রচারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন প্রণব। ধর্মেন্দ্র প্রধানের সমর্থনে দিল্লির তাবড় নেতা-মন্ত্রীর প্রচারে ঝড় তুলেছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় সংগঠনেই ভরসা রাখছেন বিজেডি প্রার্থী।
লড়াইয়ে নয়া মাত্রা যোগ করেছেন নগেন্দ্র প্রধান। ২০১৪ সালে বিজেডির টিকিটে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ’২৪-এর ভোটযুদ্ধের আগে শিবির বদলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ছেন্দিপাড়া, আথামালিক, রায়রাখোলে একটা বড় সংখ্যক চাসা সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে ভালো সম্পর্ক রয়েছে নগেন্দ্রর। ঘটনাচক্রে ধর্মেন্দ্রও এই সম্প্রদায়েরই। তা সত্ত্বেও নগেন্দ্র ব্যক্তিগত ক্যারিশমায় ভোট কেটে খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।