সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ভোট শুরুর আগে গত মার্চেই দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলিকে হিংসার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল কমিশন। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয় । ওইদিন রাজ্যের নানা প্রান্ত অশান্তির খবর পাওয়া যায়। ভোট চলাকালীন পালান্দু জেলার মাচেরলায় ইভিএম ভাঙচুর এবং বাপাতলার সাংসদের গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনাও ঘটে। বেশ কয়েকটি ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে।
এমনই একটি ভিডিওতে বহুতল লক্ষ্য করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের পেট্রল বোমা ছুড়ছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের শাসক দল ওয়াইএসআরসিপি প্রার্থী অনিল কুমার যাদবকেও একটি ভিডিওতে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস শূন্যে গুলিও চালায়। চন্দ্রগিরি কেন্দ্রের অন্তর্গত মন্দিরনগরী তিরুপতিতেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপির প্রার্থী জখম হন। ওই ঘটনা সহ বেশ কয়েকটিতে সরাসরি শাসক দল ওয়াইএসআরসিপির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ এসেছে। এলাকায় এলাকায় বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
ভোটের পরও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে শাসক ওয়াইএসআরসিপি এবং বিরোধী টিডিপি কর্মীদের সংঘর্ষের খবর মিলছে। যদিও ডিজিপি গুপ্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এমনকী হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে দুই দলের কর্মী-সমর্থক মিলিয়ে অন্তত ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে টিডিপি প্রধান নাইডু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, ‘চন্দ্রগিরি কেন্দ্রে ওয়াইএসআরের গুণ্ডারা যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, তার তীব্র ধিক্কার জানাই। হারার ভয়েই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা। শাসক দলের দেড়শো গুণ্ডা যদি হাতে ছুরি আর লোহার রড নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে স্ট্রংরুমে যে ইভিএম সুরক্ষিতই ছিল, তা কী করে বলা সম্ভব। এভাবে কী ভোটারদের মতামত আদৌ সুরক্ষিত?’