Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ। আর ৪ জুন তারিখটার পর তো বটেই। ওয়ারেন বাফে আজকের ভারতের অর্থনীতিতে মোক্ষমভাবে লাগসই। একদিনে শেয়ার বাজারের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এখানে ধৈর্যশীল ব্যক্তি কে? কারা এতে ‘ইন্ধন’ দিল? কারা এই বাজারে লগ্নি না করেও স্রেফ মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে প্রচুর কামিয়ে নিল? প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর কিছু জানা, কিছু অজানা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই গোটা প্রক্রিয়ায় অধৈর্য কারা? উত্তর নিয়ে সংশয় নেই—মধ্যবিত্ত। 
এই একটি শ্রেণি, চিরকাল যারা সমাজে নন্দ ঘোষ হয়েই থেকে গেল। তারা সবচেয়ে বেশি আয়কর দেবে, ভোগ্যপণ্য কিনে বাজার অর্থনীতি সচল রাখবে, চাকরির আশায় দরজায় দরজায় ঘুরবে, কোভিডে কমে যাওয়া মাইনে আগের জায়গায় না আসায় হা-পিত্যেশ করবে, আর তারপরও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এদেশে মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মালে, দেশের সব মন্দের দায় নেওয়ার মতো কাঁধটাও তৈরি করতে হবে তাদের। শুধু মন্দ কেন? কারণ, ভালোর যে দায় হয় না! শুধুই কৃতিত্ব। আর সেটা বরাদ্দ থাকে ক্ষমতার আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করা বাবুদের জন্য। এই যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হল... আড়াই মাসের এই মহাযজ্ঞে খরচ কত হয়েছে? ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে অঙ্কটা ছিল ৬০ হাজার কোটি। অর্থাৎ, তৃতীয় এনডিএ সরকারের জন্য গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে ভারত। কারা দিয়েছে সেই টাকা? আপনি, আমি, মধ্যবিত্ত, আম আদমি। যে নামে খুশি ডাকা যায়। তারপরও চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হবে না, আয়করে ছাড় মিলবে না, নিত্যপণ্যের উপর চড়া হারে জিএসটি চাপবে, সাতদিনের চিকিৎসার খরচ ছাপিয়ে যাবে এক একজন মধ্যবিত্তের ছ’মাসের আয়কে। তারপরও তাদেরই বাধ্য করা হবে শেয়ার বাজারের অনিশ্চয়তায় নিজেদের সর্বস্ব বিনিয়োগের জন্য। সর্বস্ব কেন? ধরে নেওয়া যাক একটা বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরের মধ্যে খুব ভালো পরিস্থিতিতে এর দাম কতটা বাড়তে পারে? ৪০ পয়সা! ৫০ পয়সা! এক টাকা! ওই শেয়ার থেকে যদি ৫ হাজার টাকা লাভ করতে হয়, তাহলে একজন মধ্যবিত্তকে কত টাকা লগ্নি করতে হবে? ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকাটা যদি এখনও তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে এক বছরে নয় নয় করে ২১ হাজার টাকা সুদ মিলবে। কিন্তু সেই মধ্যবিত্তকে  বোঝানো হয়েছে, এক বছরে এর থেকেই ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। দর বাড়লে শুধু মনে করে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। সেই আশায় তিনি ৫ হাজার শেয়ার কিনে বসেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর দিন তিনি দেখলেন, তাঁর সাধের শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, সেই মুহূর্তে বাধ্য হয়ে যদি তাঁকে বাজার থেকে টাকা তুলতে হয়, তিনি আড়াই লাখের বেশি পাবেন না। মানে, সোজা কথায় মাথায় হাত। আর তাঁকে এই ঝুঁকি নিতে বাধ্য কে করল? মোদি সরকার। ২০১৪ সালেও স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার যা ছিল, তাতে একটা বুড়োবুড়ির সংসার চলে যেতে অসুবিধা হতো না। আর এখন? এমআইএস করলে সুদের টাকায় কষ্টেসৃষ্টে ডালটুকু কেনা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা জলে ফুটিয়ে নেওয়ার জন্য গ্যাস কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। ফল? শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড। সরকার বলছে, উৎসাহ দিচ্ছে, মোটিভেট করছে মধ্যবিত্তকে... শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করুন। এখানেই শেষ নয়, ভোট প্রচারে দাঁড়িয়ে দেশের সব চ্যানেলের সামনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আম জনতার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, এখনই লগ্নি করে রাখুন। ৪ তারিখ বিপুল লাভ হবে! স্টক মার্কেটের ব্রোকাররা পর্যন্ত এভাবে দিনক্ষণ ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। প্রধানমন্ত্রী কি সেই ক্ষমতারও অধিকারী? তিনি না হয় ঈশ্বরের বরপুত্র। জৈবিকভাবে তাঁর জন্ম হয়নি। ঈশ্বর তাঁকে সরাসরি ভূমিষ্ঠ করিয়েছেন। তারপরও এমন ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় বোধহয় তিনি পৌঁছননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই ঢিল ছুড়েছিলেন তিনি? কে নিশ্চিত করেছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরই খোঁজার সময় এসেছে। আর সেইসঙ্গে এক্সিট পোল। কীভাবে প্রায় সব মিডিয়া একই ফর্মুলায় কপি-পেস্ট মার্কা ফল দেখাল? কোন কোন এলাকার ভোটারদের প্রশ্ন করা হল? সবাই কীভাবে বিজেপিকেই প্রায় ৪০০ পার করিয়ে দিল? সত্যিই কি এই সমীক্ষা ভোটের পর করা হয়েছে? নাকি বিরোধীদের অভিযোগ মতো ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে? তখন সদ্য নির্মিত রামমন্দির হাওয়া ছিল, নরেন্দ্র মোদির ৪০০ পারের স্লোগান ছিল, আর সমীক্ষকদের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো অনেক ঠান্ডা চাউনি ও ‘সম্ভাবনা’ ছিল। মধ্যবিত্ত ঘরের খেটে খাওয়া মানুষ দেখলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন শেয়ার বাজারে লগ্নি করুন, ফলপ্রকাশের দিন অনেক লাভ হবে। তারপরই তাঁরা দেখলেন, এক্সিট পোল দেখিয়ে দিল, মোদি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরছে। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করব না? সব এক্সিট পোলকে বিশ্বাস করব না? সত্যিই তো সরকার এবং মিডিয়াকে বিশ্বাস না করতে পারলে আর কাকে করব? আর কবে অধৈর্য হব? আর কবে বিনিয়োগ করব? কোনও বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এখান থেকে টাকা তুলে মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কোনও সন্তান হয়তো ভেবেছিলেন মায়ের দুরারোগ্য অসুখটার চিকিৎসা এবার হবে। কোনও ঘরহারা আশায় ছিলেন মাথার উপর ছাদের। তাঁদের ঠাঁই এখন কোথায়? এর উত্তর সরকার দেবে তো?
কয়েকমাস আগে হলেও সংশয় ছিল না—উত্তরটা ‘না’ই হতো। কিন্তু এখন আচমকা পরিস্থিতি বদলেছে। সংসদে এখন বিরোধীরা শক্তিশালী। আর একটু হলে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জটাও দিয়ে দিতে পারত মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সমীকরণে অন্য সব রাজ্যই প্রায় বিরোধী জোটের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু চার—বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি এবং ওড়িশা। এই চারটি রাজ্যে বিজেপি অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। বিহারে একমাত্র আরজেডি কড়া চ্যালেঞ্জ দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ভাগ্যের ফেরে ভোটকে আসনে রূপান্তরিত করতে পারেনি। 
প্রচুর ভোট পেয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে জেডিইউ এবং বিজেপি গায়ে গায়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে শুধু সংখ্যা বিচার্য। তাই বিহারে বিজেপির বিজয়রথ ছুটছে। ওড়িশা এবং দিল্লিও আশ্চর্যজনকভাবে ‘এক দলে’ আচমকা বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। তারই ফল বিজেপির ২০০ পেরনো। কিন্তু এটা বিষয় মানতেই হবে, তৃতীয় মোদি সরকার, থুড়ি এনডিএ সরকার গঠনের পরও স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদি। একে তো শরিকদের বিস্তর চাপ। আর দ্বিতীয়ত, আস্তিন গুটিয়ে প্রস্তুত হওয়া বিরোধীরা। তদন্ত বা বিবৃতির দাবি এখন আর মোদি সরকার চাইলেই ‘চল ফোট’ বলে ভাগিয়ে দিতে পারবে না। তাদের শুনতে হবে। সাড়াশব্দ করতে হবে। বিবৃতি দিতে হবে। আর চাইলে তদন্তও। 
তাহলে লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪ আমাদের কী শেখাল? ১) ঈশ্বর অনেক পরে, আগে মানুষ হতে হবে। ২) ধর্ম নয়, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের ইস্যুতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট হয়েছে। ৩) একনায়কতন্ত্রের আগে গণতন্ত্রই। শতবর্ষ আগে ছিল, আজ আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ৪) মহাজোট ইন্ডিয়াকে ভোটের আগে থেকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়তে হতো। তাহলে আরও বেশ কয়েকটি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কয়েকটি রাজ্যে শরিক দলগুলিই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ভোট কেটেছে। সেটা কাম্য ছিল না। ৫) টাকা নিজের, তাই গদি-তোষক কারও অন্ধ ভরসায় বিনিয়োগ করা যায় না। 
গণতন্ত্র শিখিয়েছে, শাসকের সঙ্গে বিরোধীরাও যদি শক্তিশালী হয়, তাতে উপকার মানুষের। সংস্কার হবে, কিন্তু তা মানুষের স্বার্থে। শাসকের প্রয়োজনে বা খামখেয়ালে নয়। এই ভোট একনায়কতন্ত্রকে ছুটি দিয়েছে, আর এক্সিট পোলকেও। এরপর কোনও ভোটে এক্সিট পোলের উপর দেশবাসী ভরসা রাখতে পারবে তো? তারা যদি ভবিষ্যতে বলে, সবটাই টাকার খেলা, সবটাই ‘ফ্রেম’ করা, টিআরপি তাহলে কোথায় নামবে?
ও হ্যাঁ, ছুটি দিতে হবে আরও একজনকে—প্রশান্ত কিশোর। প্রথম থেকেই তিনি কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নিরঙ্কুশ সিদ্ধিলাভের পক্ষেই সায় দিয়ে এসেছিলেন। ভোটের ফল দেখাল, সবটাই ছিল তাঁর ছেড়ে আসা সংস্থার পেনিট্রেশনের ফল। এখন তাঁর যোগাযোগ আর ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় নেই। তাই আপাতত তিনি ছুটিতে গেলেই ভালো। বাণীবর্ষণের দিন শেষ। এখন কাজের সময়। শাসক, বিরোধী দু’পক্ষেরই।
11th  June, 2024
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
একনজরে
প্রসূতির পরিবারকে নয়, স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট পাঠানো হবে। তারপর যদি স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশ আসে, তাহলেই তা জানানো হবে রোগীর পরিবারকে। বৃহস্পতিবার তাঁদের ডেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ...

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান কপার লিমিটেড (এইচসিএল) ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ‘এক্সেলেন্ট’ তকমা পেল। পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রক (ডিপিই) ‘মউ’ করার মাপকাঠিতে সংস্থাটিকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। ...

দল গঠনের ক্ষেত্রে কখনও কার্পণ্য করেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। বিদেশি থেকে ভারতীয় স্কোয়াড— সব বিভাগেই সেরা ফুটবলারদের সই করিয়েছে মোহন বাগান। দলের পারফরম্যান্সে তারই প্রভাব স্পষ্ট। ...

 আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি নুর ইসলাম ও শাদ রবি বাংলায় ঠিক কতগুলি স্লিপার সেল খুলেছে এবং সদস্য সংখ্যা কত, জেরা করে জানতে চায় বেঙ্গল এসটিএফ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির  সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১২: ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জন্ম
১৮৭১: আমাশা রোগের জীবাণু আবিষ্কর্তা জাপানি জীবাণুবিদ শিগা কিয়োশির জন্ম
১৮৯৪: বিখ্যাত সুরকার তথা সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্সের মৃত্যু
১৯০৪: চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৭: নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্যের জন্ম
২০০৫: সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৮ টাকা ৮৮.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫০ টাকা ১১১.২৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৩০ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী ৩৭/৫৫, রাত্রি ৯/২৭। রোহিনী নক্ষত্র ৩০/৫৮ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/১৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/২৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৫০  মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৭ গতে ১০/৪ মধ্যে। 
২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দশমী রাত্রি ১০/৫৭। রোহিনী নক্ষত্র রাত্রি ৮/২৭। সূর্যোদয় ৬/২০, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৩ মধ্যে ও ৮/২০ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩০ মধ্যে ও ৪/২ গতে ৫/২৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৪ গতে ৮/৫৪ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৬ গতে ১১/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
৮ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
৫৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:18:00 PM

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এআই সামিটে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

02:04:50 PM

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টেতে রাজ্য বাজেট পেশ হবে বিধানসভায়

02:04:00 PM

কৃষকদের ঋণে ডোবাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:02:00 PM

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট মরীচিকা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

02:01:00 PM

এই বাজেট বাংলা বিরোধী বাজেট: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

01:59:00 PM