Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ। আর ৪ জুন তারিখটার পর তো বটেই। ওয়ারেন বাফে আজকের ভারতের অর্থনীতিতে মোক্ষমভাবে লাগসই। একদিনে শেয়ার বাজারের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এখানে ধৈর্যশীল ব্যক্তি কে? কারা এতে ‘ইন্ধন’ দিল? কারা এই বাজারে লগ্নি না করেও স্রেফ মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে প্রচুর কামিয়ে নিল? প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর কিছু জানা, কিছু অজানা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই গোটা প্রক্রিয়ায় অধৈর্য কারা? উত্তর নিয়ে সংশয় নেই—মধ্যবিত্ত। 
এই একটি শ্রেণি, চিরকাল যারা সমাজে নন্দ ঘোষ হয়েই থেকে গেল। তারা সবচেয়ে বেশি আয়কর দেবে, ভোগ্যপণ্য কিনে বাজার অর্থনীতি সচল রাখবে, চাকরির আশায় দরজায় দরজায় ঘুরবে, কোভিডে কমে যাওয়া মাইনে আগের জায়গায় না আসায় হা-পিত্যেশ করবে, আর তারপরও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এদেশে মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মালে, দেশের সব মন্দের দায় নেওয়ার মতো কাঁধটাও তৈরি করতে হবে তাদের। শুধু মন্দ কেন? কারণ, ভালোর যে দায় হয় না! শুধুই কৃতিত্ব। আর সেটা বরাদ্দ থাকে ক্ষমতার আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করা বাবুদের জন্য। এই যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হল... আড়াই মাসের এই মহাযজ্ঞে খরচ কত হয়েছে? ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে অঙ্কটা ছিল ৬০ হাজার কোটি। অর্থাৎ, তৃতীয় এনডিএ সরকারের জন্য গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে ভারত। কারা দিয়েছে সেই টাকা? আপনি, আমি, মধ্যবিত্ত, আম আদমি। যে নামে খুশি ডাকা যায়। তারপরও চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হবে না, আয়করে ছাড় মিলবে না, নিত্যপণ্যের উপর চড়া হারে জিএসটি চাপবে, সাতদিনের চিকিৎসার খরচ ছাপিয়ে যাবে এক একজন মধ্যবিত্তের ছ’মাসের আয়কে। তারপরও তাদেরই বাধ্য করা হবে শেয়ার বাজারের অনিশ্চয়তায় নিজেদের সর্বস্ব বিনিয়োগের জন্য। সর্বস্ব কেন? ধরে নেওয়া যাক একটা বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরের মধ্যে খুব ভালো পরিস্থিতিতে এর দাম কতটা বাড়তে পারে? ৪০ পয়সা! ৫০ পয়সা! এক টাকা! ওই শেয়ার থেকে যদি ৫ হাজার টাকা লাভ করতে হয়, তাহলে একজন মধ্যবিত্তকে কত টাকা লগ্নি করতে হবে? ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকাটা যদি এখনও তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে এক বছরে নয় নয় করে ২১ হাজার টাকা সুদ মিলবে। কিন্তু সেই মধ্যবিত্তকে  বোঝানো হয়েছে, এক বছরে এর থেকেই ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। দর বাড়লে শুধু মনে করে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। সেই আশায় তিনি ৫ হাজার শেয়ার কিনে বসেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর দিন তিনি দেখলেন, তাঁর সাধের শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, সেই মুহূর্তে বাধ্য হয়ে যদি তাঁকে বাজার থেকে টাকা তুলতে হয়, তিনি আড়াই লাখের বেশি পাবেন না। মানে, সোজা কথায় মাথায় হাত। আর তাঁকে এই ঝুঁকি নিতে বাধ্য কে করল? মোদি সরকার। ২০১৪ সালেও স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার যা ছিল, তাতে একটা বুড়োবুড়ির সংসার চলে যেতে অসুবিধা হতো না। আর এখন? এমআইএস করলে সুদের টাকায় কষ্টেসৃষ্টে ডালটুকু কেনা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা জলে ফুটিয়ে নেওয়ার জন্য গ্যাস কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। ফল? শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড। সরকার বলছে, উৎসাহ দিচ্ছে, মোটিভেট করছে মধ্যবিত্তকে... শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করুন। এখানেই শেষ নয়, ভোট প্রচারে দাঁড়িয়ে দেশের সব চ্যানেলের সামনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আম জনতার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, এখনই লগ্নি করে রাখুন। ৪ তারিখ বিপুল লাভ হবে! স্টক মার্কেটের ব্রোকাররা পর্যন্ত এভাবে দিনক্ষণ ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। প্রধানমন্ত্রী কি সেই ক্ষমতারও অধিকারী? তিনি না হয় ঈশ্বরের বরপুত্র। জৈবিকভাবে তাঁর জন্ম হয়নি। ঈশ্বর তাঁকে সরাসরি ভূমিষ্ঠ করিয়েছেন। তারপরও এমন ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় বোধহয় তিনি পৌঁছননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই ঢিল ছুড়েছিলেন তিনি? কে নিশ্চিত করেছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরই খোঁজার সময় এসেছে। আর সেইসঙ্গে এক্সিট পোল। কীভাবে প্রায় সব মিডিয়া একই ফর্মুলায় কপি-পেস্ট মার্কা ফল দেখাল? কোন কোন এলাকার ভোটারদের প্রশ্ন করা হল? সবাই কীভাবে বিজেপিকেই প্রায় ৪০০ পার করিয়ে দিল? সত্যিই কি এই সমীক্ষা ভোটের পর করা হয়েছে? নাকি বিরোধীদের অভিযোগ মতো ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে? তখন সদ্য নির্মিত রামমন্দির হাওয়া ছিল, নরেন্দ্র মোদির ৪০০ পারের স্লোগান ছিল, আর সমীক্ষকদের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো অনেক ঠান্ডা চাউনি ও ‘সম্ভাবনা’ ছিল। মধ্যবিত্ত ঘরের খেটে খাওয়া মানুষ দেখলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন শেয়ার বাজারে লগ্নি করুন, ফলপ্রকাশের দিন অনেক লাভ হবে। তারপরই তাঁরা দেখলেন, এক্সিট পোল দেখিয়ে দিল, মোদি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরছে। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করব না? সব এক্সিট পোলকে বিশ্বাস করব না? সত্যিই তো সরকার এবং মিডিয়াকে বিশ্বাস না করতে পারলে আর কাকে করব? আর কবে অধৈর্য হব? আর কবে বিনিয়োগ করব? কোনও বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এখান থেকে টাকা তুলে মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কোনও সন্তান হয়তো ভেবেছিলেন মায়ের দুরারোগ্য অসুখটার চিকিৎসা এবার হবে। কোনও ঘরহারা আশায় ছিলেন মাথার উপর ছাদের। তাঁদের ঠাঁই এখন কোথায়? এর উত্তর সরকার দেবে তো?
কয়েকমাস আগে হলেও সংশয় ছিল না—উত্তরটা ‘না’ই হতো। কিন্তু এখন আচমকা পরিস্থিতি বদলেছে। সংসদে এখন বিরোধীরা শক্তিশালী। আর একটু হলে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জটাও দিয়ে দিতে পারত মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সমীকরণে অন্য সব রাজ্যই প্রায় বিরোধী জোটের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু চার—বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি এবং ওড়িশা। এই চারটি রাজ্যে বিজেপি অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। বিহারে একমাত্র আরজেডি কড়া চ্যালেঞ্জ দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ভাগ্যের ফেরে ভোটকে আসনে রূপান্তরিত করতে পারেনি। 
প্রচুর ভোট পেয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে জেডিইউ এবং বিজেপি গায়ে গায়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে শুধু সংখ্যা বিচার্য। তাই বিহারে বিজেপির বিজয়রথ ছুটছে। ওড়িশা এবং দিল্লিও আশ্চর্যজনকভাবে ‘এক দলে’ আচমকা বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। তারই ফল বিজেপির ২০০ পেরনো। কিন্তু এটা বিষয় মানতেই হবে, তৃতীয় মোদি সরকার, থুড়ি এনডিএ সরকার গঠনের পরও স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদি। একে তো শরিকদের বিস্তর চাপ। আর দ্বিতীয়ত, আস্তিন গুটিয়ে প্রস্তুত হওয়া বিরোধীরা। তদন্ত বা বিবৃতির দাবি এখন আর মোদি সরকার চাইলেই ‘চল ফোট’ বলে ভাগিয়ে দিতে পারবে না। তাদের শুনতে হবে। সাড়াশব্দ করতে হবে। বিবৃতি দিতে হবে। আর চাইলে তদন্তও। 
তাহলে লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪ আমাদের কী শেখাল? ১) ঈশ্বর অনেক পরে, আগে মানুষ হতে হবে। ২) ধর্ম নয়, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের ইস্যুতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট হয়েছে। ৩) একনায়কতন্ত্রের আগে গণতন্ত্রই। শতবর্ষ আগে ছিল, আজ আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ৪) মহাজোট ইন্ডিয়াকে ভোটের আগে থেকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়তে হতো। তাহলে আরও বেশ কয়েকটি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কয়েকটি রাজ্যে শরিক দলগুলিই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ভোট কেটেছে। সেটা কাম্য ছিল না। ৫) টাকা নিজের, তাই গদি-তোষক কারও অন্ধ ভরসায় বিনিয়োগ করা যায় না। 
গণতন্ত্র শিখিয়েছে, শাসকের সঙ্গে বিরোধীরাও যদি শক্তিশালী হয়, তাতে উপকার মানুষের। সংস্কার হবে, কিন্তু তা মানুষের স্বার্থে। শাসকের প্রয়োজনে বা খামখেয়ালে নয়। এই ভোট একনায়কতন্ত্রকে ছুটি দিয়েছে, আর এক্সিট পোলকেও। এরপর কোনও ভোটে এক্সিট পোলের উপর দেশবাসী ভরসা রাখতে পারবে তো? তারা যদি ভবিষ্যতে বলে, সবটাই টাকার খেলা, সবটাই ‘ফ্রেম’ করা, টিআরপি তাহলে কোথায় নামবে?
ও হ্যাঁ, ছুটি দিতে হবে আরও একজনকে—প্রশান্ত কিশোর। প্রথম থেকেই তিনি কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নিরঙ্কুশ সিদ্ধিলাভের পক্ষেই সায় দিয়ে এসেছিলেন। ভোটের ফল দেখাল, সবটাই ছিল তাঁর ছেড়ে আসা সংস্থার পেনিট্রেশনের ফল। এখন তাঁর যোগাযোগ আর ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় নেই। তাই আপাতত তিনি ছুটিতে গেলেই ভালো। বাণীবর্ষণের দিন শেষ। এখন কাজের সময়। শাসক, বিরোধী দু’পক্ষেরই।
11th  June, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM