প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে ভোটের যাবতীয় আলোচনা আবর্তিত হচ্ছে অযোধ্যার রামমন্দিরকে ঘিরে। আর সেই ভরসাতেই জয়ের হ্যাটট্রিক নিয়ে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লাল্লু সিং। যদিও শুধুমাত্র মন্দির নয়, জাতপাতের অঙ্কও কষছে পদ্ম শিবির। প্রার্থী লাল্লু সিং ঠাকুর সম্প্রদায়ের। কিন্তু এই কেন্দ্রে জয়ের জন্য বাকি সম্প্রদায়ের সমর্থনও যে জরুরি, সেকথা বিলক্ষণ জানেv গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কারণ ফৈজাবাদ কেন্দ্রে ভোটারদের বড় অংশই দলিত ও কুড়মি সম্প্রদায়ের, প্রায় ২৬ শতাংশ। মুসলিম ও যাদব ভোটার যথাক্রমে ১৪ ও ১২ শতাংশ। এই যাদব ভোটব্যাঙ্ক অবশ্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত ছিল সমাজবাদী পার্টির দিকে। গত দুই নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পরে হাওয়া ঘুরে যায়। পদ্ম শিবিরের দিকে ঝুঁকে পড়েন যাদবরা। এছাড়াও রয়েছেন ব্রাহ্মণ (১২ শতাংশ) ও রাজপুত (৬ শতাংশ) ও বৈশ্যরা (৪ শতাংশ)। কম হলেও এই অংশের ভোটকেও পাখির চোখ করছে বিজেপি। অযোধ্যার করসেবকপুরমের এক আরএসএস নেতার কথায়, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য সব সম্প্রদায়ের ভোটকে বিজেপির দিকে নিয়ে আসা। বিশেষ করে কুড়মি ও যাদবদের। কারণ অযোধ্যায় এই সম্প্রদায়ের ভোট বড় ফ্যাক্টর।’
জাতপাতের অঙ্কের হিসেব জানেন মহাজোট ইন্ডিয়ার প্রার্থী অধেশ প্রসাদও। সেই কারণেই নাম ঘোষণার পর থেকেই গোটা লোকসভা কেন্দ্র ছুটে বেড়াচ্ছেন সমাজবাদী পার্টির এই প্রবীণ নেতা। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের পর সপার যে সমস্ত নেতা-কর্মী দল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন, তাঁদেরকেও দলে ফেরাতে তৎপর হয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, কঠিন এই লড়াইয়ে জিততে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না অধেশ প্রসাদ।
নিজের লক্ষ্যে বেশ কিছুটা সফলও হয়েছেন সপা প্রার্থী। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা জেলার রুদাউলির দু’বারের বিধায়ক আব্বাস আলি জাইদিকে ফের দলে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বহুজন সমাজ পার্টিতে (বসপা) যোগ দেন ‘রুশদি মিঁয়া’। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, রুদাউলির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় আব্বাস আলির ভালো প্রভাব রয়েছে। ভোটের মুখে তাঁর সপায় প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ধারিয়াবাদের ছ’বারের বিধায়ক রাজা রাজীব সিংয়ের ছেলে রীতেশ সিংও ফিরে এসেছেন সপায়। রীতেশের এই সিদ্ধান্তে দল আরও শক্তিশালী হল বলে মত অযোধ্যার (সদর) প্রাক্তন সপা বিধায়ক পবন পান্ডের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মোদি ঝড়ে ভর করে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন লাল্লু সিং। এবারে রামমন্দিরের সঙ্গে মোদি গ্যারান্টির জোরে জয় আসবে বলে আশাবাদী বিজেপি। সপার পাল্টা দাবি, রামমন্দির নিয়ে আর কোনও চর্চা নেই। মোদির গ্যারান্টির উপরেও মানুষের কোনও ভরসা নেই। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়া। উত্তরপ্রদেশের মানুষ আমাদের মহাজোটের পাশেই আছেন।