উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
ভারতীয় সংবিধানের ৩১সি ও ৩৯বি অনুচ্ছেদে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সম্পর্কিত আইনগুলিকে কেন্দ্র করেই এই মামলা। সরকারের নির্দেশমূলক নীতি পূরণের জন্য যে আইন, তাকে সুরক্ষিত করছে ৩১সি। আর ৩৯বি অনুসারে, সমষ্টিগত উন্নয়নের জন্য যে কোনও সম্পত্তি জনস্বার্থে অধিগ্রহণ করতে পারে সরকার। কিন্তু সংবিধানের ওই দুই অনুচ্ছেদে সম্পত্তি বলতে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিষয়-আশয় বোঝানো হয় কি না, তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই। এই বিষয়টি নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি বি ভি নাগরত্না, বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি এস সি শর্মা এবং বিচারপতি এ জি ম্যাসির সাংবিধানিক বেঞ্চে।
শেষপর্যন্ত এদিন এই মামলায় তিনটি রায় লেখা হয়েছে। একটি রায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সহ আরও ছ’জন বিচারপতির। সহমত পোষণ করলেও পৃথক একটি রায় লিখেছেন বিচারপতি নাগরত্না। তৃতীয়টি ভিন্নমত বিচারপতি ধুলিয়ার। রায়ে দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আপাতভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিও ৩৯বি অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত। কিন্তু প্রতিটি ব্যক্তিগত সম্পত্তিই যে সমষ্টিগত উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যাবে, তেমনটা নয়। তাই চাইলেই সেগুলি দখল করা যাবে না। এক্ষেত্রে একাধিক মাপকাঠির কথা উল্লেখ করেছেন চন্দ্রচূড়—ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিটি কী ধরনের? সেটির বৈশিষ্ট্য কী? সমষ্টিগত উন্নয়নে সেটি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? ওই ধরনের সম্পত্তির অভাব রয়েছে কি না, বা সেটি ব্যক্তি মালিকানায় থাকলে কী প্রভাব পড়তে পারে?
সংবিধানের ৩৯বি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক যদিও আজকের নয়। ১৯৭৭ সালে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় খণ্ডিত রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সাত বিচারপতির মধ্যে চারজনের মত ছিল, ব্যক্তি মালিকানাধীন সব সম্পত্তি ৩৯বি অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্পত্তির আওতায় পড়ে না। ভিন্নমত ছিলেন তিনজন। বিচারপতি কৃষ্ণা আইয়ারের পর্যবেক্ষণ ছিল, সব ধরনের সম্পত্তিই ৩৯বি অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত। বিচারপতি নাগরত্না সে কথা উল্লেখ করেছেন।