উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
আসল কারণ কী? জানতে সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন একটি সমীক্ষা করেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে পাতা পাইপ থেকে জল টেনে নিয়ে চলছে পশুদের স্নান থেকে চাষসহ অনেক ‘অন্যায্য’ কাজ। ফলে বাড়ি বাড়ি পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না। আবার তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করতে পারছে না রাজ্য। কারণ, তড়িঘড়ি জল জীবন মিশন চালু করতে গিয়ে এই সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির কী করণীয়, তা সুনির্দিষ্টভাবে কেন্দ্র জানায়নি।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে জল চুরি রুখতে রাজ্য নিজস্ব আইন আনার কথা ভাবছে। নতুন আইন আনার বিষয়টি বিধানসভায় আগেই জানিয়েছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায়। সমস্যাটি এখন আরও বেড়েছে। তাই নতুন আইন আনতেই তৎপর নবান্ন। সংশ্লিষ্ট আইনের খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্র ২০১৯ সালে জল জীবন মিশন নিলেও পশ্চিমবঙ্গে তা শুরু হয়েছে ২০২১ সালে। ইতিমধ্যে, টার্গেটের ৫৩.০৯ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য। বাকি কাজ ২০২৫-এর মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি, রাজ্য আরও একটি কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে চলেছে—‘ড্রাই কানেকশন’ শূন্যে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ, যেসমস্ত জায়গায় কল থাকা সত্ত্বেও মানুষ জল পাচ্ছেন না, সেখানে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ সুনিশ্চিত করা। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই সাড়ে পাঁচ লক্ষ বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাঠানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তর মাঠে নেমেছে। সুরাহা নিশ্চিত করতে পুলকবাবু কার্যত প্রতিদিনই অগ্রগতির রিপোর্ট নিচ্ছেন। আজ বুধবার তিনি এডিবি’র আর্থিক সহায়তায় গৃহীত জল প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। কেন্দ্র তড়িঘড়ি জল জীবন মিশনের কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়ায় শুরুর দিকে একটি পাড়ার মুখে যে কল বা স্ট্যান্ড ছিল, সেখান থেকেই এলাকার বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বেশকিছু বাড়িতে পর্যাপ্ত জল যায়নি। তাই ওই সমস্ত এলাকায় জলের পাইপ পরিবর্তন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।