উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
মুলায়ম সিং যাদবের আমলের মাদ্রাসা আইনকে গত মার্চে ‘অসাংবিধানিক’ এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি বিরোধী আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সর্বোচ্চ আদালতে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়েছে, ২০০৪ সালের উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা আইন বাতিলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের যুক্তি সঠিক নয়। এই আইন ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করেনি। বরং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রকৃত সমতা পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। এই নীতিকে ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ বিবেচনা করার উপরে জোর দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে জানানো হয়েছে, ভারত ‘বিভিন্ন সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ধর্মের মিলনক্ষেত্রে’ এবং সেই ঐতিহ্য আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি পার্দিওয়ালা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দেশের সংবিধানে ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়নি। গত ২২ মার্চ মাদ্রাসা আইনকে খারিজ করে দিয়ে
এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। সেখানকার প্রত্যেক পড়ুয়াকে আনতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায়। এই ব্যবস্থা করতে হবে যোগী সরকারকে। এই রায়ে অথৈ জলে পড়ে যান ১৯ লক্ষ মাদ্রাসা পড়ুয়া ও তাদের শিক্ষকরা। সেইসঙ্গে উদ্বেগ ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মহলে। তবে কি ধীরে ধীরে দেশ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? কারণ যোগীর আমলে মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূল শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের এদিনের রায়ে মাদ্রাসার অস্তিত্বের সঙ্কট কাটল।