প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
প্রশাসনিক কর্তাদের থেকে জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাঝেমধ্যেই কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা হয়। তবে এবার স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সচিবের বৈঠক করতে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক ছাড়া এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব পদমর্যাদার আধিকারিকের রাজ্যে আসার নজির রয়েছে ২০২১ সালে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন অজয়কুমার ভাল্লা। সূত্রের খবর, রবিবারের বৈঠকে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি নিয়ে একটি ‘প্রেজেন্টেশন’ দেন বিবেক কুমার। রাজ্যের ন’টি জেলায় (কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর) মোট ২২০০ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে ১৬০০ কিলোমিটার অংশে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে আগেই। বাকি রয়েছে প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৬৬ কিলোমিটারের জন্য জমি কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তবে মাত্র ১১২ কিলোমিটারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি কেনার টাকা এখনও পর্যন্ত দিয়েছে কেন্দ্র। সেই টাকায় ৪৫ কিলোমিটার সীমান্তের জন্য জমি কিনে ইতিমধ্যে তা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে হস্তান্তর করে দিয়েছে রাজ্য। বাকি ১৫০ কিলোমিটারের কাজ নিয়ে এখনও কেন্দ্রের তরফেই কোনও প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। কাজের এই অগ্রগতির জন্য রাজ্যের প্রশংসা করে বাকি কাজে গতি আনার বিষয়েও কেন্দ্রীয় সচিব আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। মুখ্যসচিবের তরফে জমি হস্তান্তরে গতি আনতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই কাজে রাজ্যের সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।