প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এই অভিন্ন পুলকার নীতি তৈরির সময় পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ স্লোগানকে সামনে রেখে গোটা পরিকল্পনার রূপায়ণ হচ্ছে। সেই সূত্রে আমরা স্কুলশিক্ষা দপ্তর, পুলিস, স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক সমিতি ও পুলকার সংগঠনের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়েছি। সমস্ত পক্ষের মতামত নিয়ে এই অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে তা কার্যকর হবে।’ মন্ত্রীর পরামর্শ ছিল, অভিভাবকদের এক্ষেত্রে বাড়তি সচেতন হতে হবে। স্কুলবাস কিংবা পুলকারের নম্বর, গাড়ির স্বাস্থ্য, চালকের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে।
বাবা-মায়ের উদ্দেশে স্নেহাশিসবাবুর বার্তা ছিল, ‘মোবাইলে পরিবহণ দপ্তরের অ্যাপ রাখুন। সেখানে বাচ্চার পুলকারের নম্বর দিলেই সংশ্লিষ্ট গাড়ির যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। বিধি মেনে সমস্ত সরকারি কাগজপত্র না থাকলে দ্রুত পুলিসকে জানান। তাতে অবাঞ্ছিত ঘটনা অনেকটাই কমবে।’
যদিও শেষ তিনমাসে মন্ত্রীর এই দাওয়াই কার্যত খাতায়-কলমে থেকে গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি স্কুল পড়ুয়াদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থায় সরকারের পরমার্শ মেনে বদল এনেছে। অধিকাংশ স্কুল বিষয়টি নিয়ে তেমন ভাবিতই নয়। অন্তত এমনটাই অভিযোগ পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের। সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আবেদন করছে সরকার। যে স্কুলবাস বা পুলকারের উপর ভরসা করে সন্তানকে ছাড়ছেন, সেটিকে যাবতীয় সরকারি বিধি মেনে চলার জন্য চাপ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের।