নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুই বাংলার মধ্যে আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা আদৌ চালু হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় শুরু হয়েছে। প্রায় চারমাস হতে চলল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে আছে। ওপার বাংলায় অশান্ত পরিস্থিতির কারণে ১৯ জুলাই থেকে এই অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস, দুর্গাপুজো চলে গিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। শ্যামা মায়ের আরাধনার তিথি পেরিয়ে গেলেও এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। একপ্রকার নিশ্চিত করেই বলছেন পূর্ব রেলের কর্তারা। তাঁদের একাংশের দাবি, দুই বঙ্গের বুক চিরে যাত্রীবোঝাই ট্রেনের ছন্দোবদ্ধ দৌড় চলতি বছরে আর দেখা যাবে না। অর্থাৎ আসন্ন নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ বছরের অর্ধেক থেকে শেষ পর্যন্ত লাগাতার উৎসবের মরশুমে লক্ষ লক্ষ যাত্রী দু’দেশের মধ্যে ট্রেনপথে যাতায়াতের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের দু’টি ট্রেন আন্তর্জতিক সীমান্ত পেরিয়ে চলাচল করে। এই দুটি হল—কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। পূর্ব রেলের কর্তাদের দাবি, ওপার বাংলার রেলের তরফে সবুজ সংকেত না আসা পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। হিংসাত্মক ছাত্র আন্দোলন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিচ্যুতিসহ পরপর ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার ধারা এখনও অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি শোনা গিয়েছে। স্বভাবতই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান সূত্র মিলবে বলে মনে করছেন না রেলকর্তারা। এক্ষেত্রে অগ্রিম এই দুই ট্রেনের টিকিট কেটে রাখা যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা স্টেশনের যে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা হয়েছে, সেখান থেকেই দাম নগদে ফেরত দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকিটের পুরো মূল্যই যাত্রীরা ফেরত পাবেন বলে রেলের তরফে জানান হয়েছে। তবে পরবর্তী ট্রেনের টিকিট কবে থেকে মিলবে, তার উত্তর আপাতত নেই।