প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ‘ডানা’ ওড়িশা উপকূলে ভদ্রক জেলার ধামরা ও ভিতরকণিকা সংলগ্ন কোনও জায়গা গিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে বা ‘ল্যান্ডফল’ হবে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। ল্যান্ডফলের স্থান নিয়ে আবহাওয়া দপ্তর যে পূর্বাভাস দিয়েছিল তা মিলে গিয়েছে। তবে ‘ডানা’র তীব্রতা যতটা হবে বলা হয়েছিল ততটা হয়নি। ওড়িশা এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া যতটা জোরালো হবে বলা হয়েছিল হয়নি সেটাও। এতে একদিকে ভালোই হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমেছে। ল্যান্ডফলের জায়গার মতো সংলগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ অতটা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলে তা ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার ছিল বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
আবহাওয়া কর্তাদের দাবি, উপকূলে আছড়ে পডার আগে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ডানার দুদিকে দুটি ঘূর্ণাবর্ত থাকবে সেটা তাঁদের আগে থেকে জানা ছিল। তাই পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে এটি আছড়ে পড়বে। খুব বা অতিতীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় যে ডানা হবে না সেটা আগেই বলা হয়েছিল। বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বায়ুপ্রবাহের গতিপ্রকৃতিসহ অন্যকিছু কারণে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা পূর্বাভাসের থেকে আরও কতটা কমেছে, তা বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ হলে বোঝা যাবে।