বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রানি লক্ষ্মীবাই আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ প্রকল্পের অধীনে সরকারি স্কুলগুলিতে এই পাঠ দেওয়া হয়। জুডো, ক্যারাটে, তাইকোন্ডুর মতো সেলফ ডিফেন্স স্পোর্ট ছাড়াও রয়েছে আত্মরক্ষার নানা কৌশল। সাধারণ বাড়ির মেয়েদের সবসময় এই ধরনের কোর্স চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে কোর্সগুলি ব্যয়বহুও বটে। তবে, স্কুলে বিনামূল্যে কোর্স চললে তার আগ্রহ কমই থাকে। একজন শিক্ষক বলেন, টাকা না দিয়ে কোর্স করলে এর গুরুত্ব অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। পকেট থেকে টাকা খরচ করলে তার প্রতি বেশি আগ্রহ থাকে। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই সমস্যার দিকটি প্রত্যক্ষ করে এসেছেন এতদিন। তবে, আর জি কর কাণ্ডের পরে এই ছবি পাল্টাচ্ছে। ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছে।
অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের তিনমাস ধরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি ক্লাস হবে ৪০ থেকে ৬০ মিনিটের। এই প্রকল্পের অধীনে প্রতি স্কুল সরকারের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে পায়। সেটা খরচ করা হয় প্রশিক্ষকদের ফি দিতে। যদিও, স্কুলের কোনও শিক্ষক নোডাল টিচার হন। বিশেষ করে শারীরশিক্ষার শিক্ষক থাকলে তিনি অগ্রাধিকার পান। দেখা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামের মতো ছোট জেলাও এই খাতে ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান বা হুগলির মতো বড় জেলা, যেখানে বেশি সংখ্যক স্কুল রয়েছে, সেগুলি আরও কয়েকগুণ বেশি অর্থ পেয়েছে। নিয়মিত যে ক্লাস করা হচ্ছে, তা ভিডিও আকারে তুলে স্কুলগুলিকে জমা দিতে হবে সার্কেল ও ডিআই অফিসগুলিতে।