বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এই মিশন সিবিআইয়ের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে মিছিলে যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেইমতো হাজার হাজার হাজার মানুষ সহ এদিন স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে মিছিল করলেন জুনিয়র চিকিত্সকরা। করুণাময়ী মোড়ে মেট্রো ব্রিজের নীচে যে আওয়াজ উঠছিল, হতেই পারে তার কিছুটা সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঠান্ডা ঘরেও পৌঁছেছে। আন্দোলনের প্রতিটা স্তরেই জুনিয়র চিকিত্সকরা ‘সাফল্য’ পেয়েছেন বলে মনে করছেন। সরানো হয়েছে কলকাতা পুলিসের সিপি, ডিসি নর্থ সহ স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের। পরিকাঠামো উন্নয়ন ও থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। অতএব, এবার কি তবে সিবিআই? আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিত্সক কিঞ্জল নন্দ বলছিলেন, ‘যে কোনও আন্দোলনেই স্তর থাকে। সেটা ঠিকই। আমরা বিচারের দাবিতেই পথে নেমেছিলাম। যেখানে সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ফলত, আমরা বিচারের দাবি থেকে কখনওই সরে যাইনি। সেটা থাকবেই। তার সঙ্গে থ্রেট কালচার বন্ধ করতেই হবে। সেই দাবিতেও লড়াই চলবে।’ আর এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘আসলে এই পরিকাঠামো উন্নয়ন, থ্রেট কালচার সবটাই কিন্তু বিচারের দাবির সঙ্গে কোথাও গিয়ে সম্পৃক্ত। আন্দোলনের পথেই এই বিষয়গুলো এক এক করে এসেছে।’
একের পর এক বিষয় যেমন উঠে এসেছে, তেমনই বহু রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ এক হয়ে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, জেনারেল বডি বৈঠকে বহু মতামত উঠে আসে। এমনকী কী কী স্লোগান দেওয়া হবে, তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়। এক সিনিয়র চিকিত্সকের কথায়, অরাজনৈতিক এই তকমা যেন ঘুচে না যায়, তার জন্য ওঁরা চেষ্টা করেছে। যেমন, ‘আজাদি’ স্লোগান কিংবা ব্যক্তি আক্রমণ করে স্লোগান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে বলেই শুনেছি। কিন্তু সবক্ষেত্রে তো সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবুও যতটা করা যায়। অরাজনৈতিক এই আন্দোলন এবার কোন পথে যায়, তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে রাজ্যবাসী। কারণ, আন্দোলনকারীরা সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক। যাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র আম জনতার।