বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই, রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসি মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধ মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। এত পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। এর আগে এতো বেশি পরিমাণ জল ডিভিসির পক্ষ থেকে কখনও ছাড়া হয়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯-এর পর দামোদর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় যে বন্যা পরস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা ভয়াবহ। মোট ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা বন্যা কবলিত। এই প্লাবনের ফলে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জলে ডুবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ শস্যক্ষেত। ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশু হারিয়ে সর্বসান্ত হয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতি একটি ‘ম্যান মেড ফ্লাড’। মমতা আরও জানান, ডিভিসি যদি পরিকল্পিতভাবে বাঁধ এবং জলাধারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করত, তা হলে এই বন্যা আটকানো সম্ভব হতো। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অসংখ্য মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসির মোট জল ছাড়ার পরিমাণের হিসেবও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক বন্যা কবলিত এলাকায় নিজে পরিদর্শনে গিয়েছেন মুখ্যামন্ত্রী। গতকাল তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে মমতা বলেন, ‘এটা ম্যান মেড বন্যা। বৃষ্টির জলে এই বন্যা হয়নি। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানকার জল বাংলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’