বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে লক্ষাধিক কোটি টাকা প্রাপ্য রয়েছে রাজ্যের। দীর্ঘদিন ধরে দাবিদাওয়া জানালেও, অর্থ বরাদ্দ করতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সরকার ও শাসক দলের। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনবার সাক্ষাৎ করে বাংলার প্রাপ্য অর্থের তালিকা দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও বাংলার প্রতি কেন্দ্র উদাসীন বলে সরব তৃণমূল। এরমধ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লবিত। প্রাণহানির ঘটনাও বাড়ছে। বহু মানুষ ঘর ছাড়া। তাঁদের উদ্ধার করে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জলের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের উচিত ছিল, বাংলার পাশে এসে দাঁড়ানো, এমনটা বক্তব্য তৃণমূলের। জোড়াফুল শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের মসনদ টিকিয়ে রাখতে নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর দিকে ঝুঁকে রয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের ঢালাও অনুদান পাচ্ছে বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু বন্যা বিধস্ত বাংলার দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই কেন্দ্রের।
দুর্ভোগের খবর আসার পরই সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন তিনি। সবরকম সরকারি সাহায্য নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সময় বিজেপি, সিপিএম যে সমস্ত বক্তব্য দিচ্ছে, তা নিম্ন মানের রাজনীতি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শাসক দলের বক্তব্য, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় গিয়ে জলে নেমে সাধারণ মানুষের সমস্যাকে প্রত্যক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুরাহার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করেছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ঘুরে বেড়ান হেলিকপ্টারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। বাংলার চিন্তা নেই।