বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়েন ফ্লু ভাইরাস মুরগি, বিড়াল, গোরু প্রভৃতি গৃহপালিত পাখি ও পশুদের মধ্যে সংক্রামিত হয়। মানুষের মধ্যে কখনই সংক্রামিত হয় না বলে ভাবা হত। ১৯৯৭ সালে সেই ধারণা ভাঙে। হংকং-এ বিশ্বে প্রথম মানবশরীরে ভাইরাস সংক্রামিত হয়। বাংলার ঘটনাটিকে অতিবিরল বলে মনে করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। এই ঘটনাটি ছাড়াও কলকাতায় নিজের আদি বাড়িতে বেড়াতে আসা অস্ট্রেলিয়া নিবাসী একটি পরিবারের ছোট বাচ্চাও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত (এইচ৫এন২) বলে অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাচ্চাটি দেশে ফিরে আসার পর ভারত সরকারকে জানিয়েছে। সূত্রের খবর, বাচ্চাটি ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কলকাতার পরিবারের আদি বাড়িতে এসেছিল।
এদিকে মালদহের পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করতে কালিয়াচকে আক্রান্ত শিশুটির গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা (জনস্বাস্থ্য) ডাঃ দীপঙ্কর মাজির নেতৃত্বাধীন টিম পরিদর্শনে আসছে।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে কালিয়াচকের আলিপুর-২ অঞ্চলের বাসিন্দা চার বছরের ওই শিশুটি জ্বর ও তলপেটের ব্যথার কথা বলে। মাসের শেষদিকে ঘনঘন খিঁচুনির সমস্যা হতে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ছুটি পায়। ফের মার্চে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়। এপ্রিলে বার্ড ফ্লুর ভাইরাস ধরা পড়ে। বাচ্চাদের আইসিইউ (পিকু)-তে রেখে চিকিৎসা হয়। এমনকী ভেন্টিলেশনেও রাখতে হয়।
বুধবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, আতঙ্কের কারণই নেই। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৯ হাজার মুরগির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও সঙ্গে বাচ্চাটির নমুনা মেলেনি। সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। কোনও মুরগির রক্তেও ভাইরাস মেলেনি। কলকাতায় আসা খুদেটির ব্যাপারে তখনই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ও এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছে। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার পর কালিয়াচকের ওই শিশু সুস্থ রয়েছে। ওর থেকে কারও শরীরে রোগও ছড়ায়নি। আক্রান্ত শিশুর কাকা বলেন, ভাইপো ভালো আছে। মালদহের প্রাণিসম্পদ বিকাশ বিভাগের উপ অধিকর্তা উৎপলকুমার কর্মকার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত জেলার পোলট্রি ফার্মগুলি থেকে মুরগির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠাই। সম্প্রতি পরিযায়ী পাখিদের রক্তও পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। গত কয়েকমাসে কোনও পাখির রক্তে বার্ড ফ্লু’র ভাইরাস মেলেনি। ফলে জেলাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’ চিকিৎসকরা জানান, অতিবিরল ক্ষেত্রে পাখি থেকে মানবদেহে সংক্রমণ হলে জ্বর, বমি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ থাকে। সমস্যাগুলি ক্রমে বাড়তেই থাকে। অসেলটামিভির বা ট্যামি ফ্লু হল এর ওষুধ।