বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পলিটব্যুরো আর কেন্দ্রীয় কমিটির গোলকধাঁধায় ১৯৯৬ সালে জ্যোতি বসুরও প্রধানমন্ত্রী হওয়া হয়নি। তাহলে কি সেই বঞ্চনা আজও অব্যাহত? পলিটব্যুরোর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোকসভায় বামদলগুলির উপস্থিতি সামান্য বেড়েছে। লেখা হয়েছে—সিপিএম ৪টি, সিপিআই ২টি ও সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ২টি আসনে জিতেছে। তারপরই কেরলে সিপিএমের ফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, পলিটব্যুরো পার্টির ফল নিয়ে হতাশ, বিশেষ করে কেরল সম্পর্কে। রাজ্য স্তরে পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে পার্টি পরে আরও বিশ্লেষণ করবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির এক সদস্যর কথায়, ‘একটা সময় তো রাজ্যে আমরা ছিলাম। বাংলা থেকে সাংসদও অনেক ছিল। এখন এটা দেখে অবশ্য অভিমান বলব না, খানিক মন খারাপ তো হবেই।’
সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়, কেরল নিয়ে হয়তো সিপিএমের অনেক আশা ছিল। সেদিক থেকেই এটা বলা হয়েছে।’ লিবারেশন আর সিপিএম কি কখনও একসঙ্গে লড়াই করবে? দীপঙ্করবাবু বলেন, ‘আমরা তো চাই বামশক্তিরা যাতে এক হয়ে লড়াই করবে।’ তবে তাঁর মতে, ‘সিপিএম বাংলায় যা ভোট পেয়েছে, খুব খারাপ নয়। হিন্দি বলয়ে বাম সাংসদ হয়েছে। বামপন্থীরা এবার বাংলায় দ্বিতীয় শক্তি হয়ে উঠুক।’
রাজ্যের আর এক ছাত্রনেতা আবার ‘বঞ্চনা’ শব্দের পক্ষপাতী নন। তিনি বলছেন, ‘ছাত্র-যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতৃত্বে আমাদের রাজ্য থেকে অনেকেই রয়েছেন। আমাদের এখানে ফল খারাপ হয়েছে। সেটা তো বাস্তব।’ সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম বলছিলেন, ‘এটা প্রাথমিক বিশ্লেষণ। পার্টি যেখানে লড়াই করেছে, সবটা নিয়েই আলোচনা হবে। বাংলার ব্রাত্য হবে কেন? বিশেষভাবে কেরলের উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ পার্টি যা ভেবেছিল সেটা হয়নি। এমাসের শেষদিকেই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে।’