বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বুধবারও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার ব্যাপারে কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরের উপর মৌসুমি অক্ষরেখা ফের সক্রিয় হতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বর্ষা আসার পক্ষে এটা ইতিবাচক বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষা আসার বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।
বর্ষা নিয়ে আসে যে মৌসুমি অক্ষরেখা, তার একটি প্রান্ত থাকে আরব সাগরের দিকে, অন্যটি বঙ্গোপসাগর দিকে। মে মাসের একেবারে শেষদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ সৃষ্টি হয়েছিল। তার ধাক্কায় বঙ্গোপসাগর প্রান্তের মৌসুমি অক্ষরেখাটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে ৩১ মে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। তারপর থেকে এরাজ্যে বর্ষার আর অগ্রগতি হয়নি। এরপর থেকে বঙ্গোপসাগরের তুলনায় আরবসাগরের উপর মৌসুমি অক্ষরেখা বেশি সক্রিয় ছিল। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর জেরে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গোয়া হয়ে গুজরাতের একাংশেও বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তেলেঙ্গানায় পুরোপুরি, উপকূলীয় অন্ধ্রের বেশির ভাগ এলাকায়, ছত্তিশগড় ও সংলগ্ন ওড়িশার কিছু অংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বুধবার জানিয়েছে, বর্ষা আগামী তিন-চারদিনের মধ্যেই উপকূলীয় অন্ধ্রের বাকি অংশে এবং ওড়িশা ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের একাংশের দিকে এগিয়ে যাবে। এই গতিপ্রকৃতিই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু তার জন্য আরও কতদিন সময় লাগবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। মৌসুমি অক্ষরেখার একটি প্রান্তের তুলনামূলক কম সক্রিয়তা স্বাভাবিক বলেই ধরা হচ্ছে। গতবছর দক্ষিণবঙ্গে বেশ দেরিতেই, ২১ জুন বর্ষার প্রবেশ ঘটে। শুক্রবারের পর বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে প্রাক-বর্ষা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।এতে গরমের তীব্রতা কমবে। এই কারণে শুক্রবারের পর দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপপ্রবাহের সতকর্তা জারি করা হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতাসহ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা একটু কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেশি বলে ভ্যাপসা গরম রয়েই গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জায়গায় তাপপ্রবাহ চলছে। সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে। অন্যদিকে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশের কারণে উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে।