বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সেশনে কারা ভর্তি হবেন? চেয়ারম্যানের বক্তব্য, বোর্ড পরীক্ষার ফল দেরিতে প্রকাশ হওয়ার কারণে অনেকে প্রথম সেশনে ভর্তি হতে পারেন না। অসুস্থতা বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেও অনেকে প্রথম সেশনে ভর্তির সুযোগ হারান। তাঁদের জন্য সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। এতদিন তাঁদের এক বছর অপেক্ষা করতে হতো। প্রসঙ্গত, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চল রয়েছে বহুদিন ধরেই। ইউজিসির যুক্তি, ইতিমধ্যে তারা বছরে দু’বার ‘নেট’ নিতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পিএইচডিতে ভর্তি নেওয়া হয় জুলাইয়ে। দু’টি ‘নেট’-এর সুবিধা নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে আরও কিছু গবেষককে পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজস্ব প্রবেশিকা বা সিইইটি বা কুয়েট ইউজি বা পিজির মাধ্যমে ভর্তি নিতে পারে ছাত্রছাত্রীদের। তাছাড়া, দু’বার পড়ুয়া ভর্তি হলে বছরে দু’বার ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ নিতে আসতে পারে বিভিন্ন সংস্থা। বিদেশি বিশ্ববিদ্যাগুলির সঙ্গে বিভিন্ন ‘এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ চালাতেও সুবিধা হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।
দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী বলেন, ‘উদ্যোগটি ইতিবাচক। উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি নমনীয়তা আসবে। সর্বোপরি, এক বছর নষ্ট হবে না ছাত্রছাত্রীদের। ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে একটি সেমেস্টারে কোনও একটি প্রতিষ্ঠানে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী সেমেস্টারে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ চালু হয়েছে। এই ব্যবস্থা ওই উদ্যোগকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে।’ কিছুটা সংশয়ে শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ মেইন কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর। তিনি বলেন, ‘উদ্যোগটি ভালোই। তবে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। দ্বিতীয় সেশনে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁরা কি নতুন করে প্রথম সেমেস্টার পড়তে শুরু করবেন, নাকি দ্বিতীয় সেমেস্টারে দু’টি ষান্মাসিকের পড়াশোনাই কভার করে নেবেন? দ্বিতীয় সম্ভাবনার ক্ষেত্রে কলেজগুলির সমস্যা নেই। তবে, প্রথমটি হলে কলেজগুলিকে সমান্তরাল ছ’টি ব্যাচ আটটি সেমেস্টারের জন্য চালাতে হবে। বর্তমান পরিকাঠামোয় তা কতটা সম্ভব, জানি না।’
এক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অধ্যক্ষরা। কারণ, জুলাই-আগস্ট সেশনে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদেরও দ্বিতীয় সেশনে নতুন করে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তেমন হলে কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানে প্রচুর আসন ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে সেই শূন্য আসন পূরণ করা খুবই কঠিন হবে। রাজ্যের কলেজগুলিতে আসন শূন্য থেকে যাওয়া গত কয়েক বছরে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসরকারি কলেজগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা। তাই নতুন পদ্ধতি আখেরে আশীর্বাদ, নাকি অভিশাপ, তা বুঝে নিতে চাইছেন শিক্ষাকর্তারা। বিকাশ ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘ইউজিসি আগে গাইডলাইন দিক। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’