মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় ও জখমদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ মে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট ছিল। ওইদিন চরকৃষ্ণবাটির ফুলতলা বসন্ত স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ চলছিল। তৃণমূল সমর্থক দুই জা অপর্ণা মণ্ডল ও সঞ্চিতা মণ্ডল বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় এলাকায় বিজেপি সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত কয়েকজন তাঁদের পথ আটকায়। তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ‘হ্যাঁ’ বলেন। এরপরই দুষ্কৃতীরা অপর্ণার হাতে হাঁসুয়ার কোপ দেয়। রড, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। দিদিকে রক্তাক্ত দেখে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন জা সঞ্চিতা। সেখানে গিয়ে হামলাকারীরা সঞ্চিতাদেবীকেও মারধর করে। জখম দু’জনকে স্থানীয় জিরাট আহমেদপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার পরিবারের লোকেরা কালনা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে অপর্ণা বলেন, ‘ভোট দিয়ে ফিরছিলাম। এলাকায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী আমার পথ আটকে বলে, যে হাতে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিস সেই হাত কেটে নেব। বলেই হাঁসুয়া দিয়ে আমার হাতে কোপ দেয়। রক্তাক্ত হয়ে পড়ে যাই। তারপরও আমাকে লাঠি রড দিয়ে ওরা মারতে থাকে।’
সঞ্চিতা বলেন, ‘দিদিকে মারধর করছিল দেখে আমি একটি দোকানে আশ্রয় নিতে যাই। সেখানে আমাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমি জ্ঞান হারাই।’
এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেতা অসীম বৈদ্য বলেন, ‘ভোটের দিন বেলার দিকে বিজেপি বুঝে গিয়েছিল, ওরা গোহারা হারতে চলেছে। তাই, সন্ত্রাস করে গণ্ডগোল পাকানোর জন্য তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে আমাদের দুই মহিলা সমর্থককে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়।’
তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বুঝে গেছে বাংলায় ওদের ঠাঁই নেই। তাই সন্ত্রাস করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।
বিজেপির বলাগড় বিধানসভার কো-কনভেনার অলোক কুণ্ডু বলেন, তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বিজেপি সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বিজেপি কর্মী সমর্থক যুক্ত নেই।