প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশে ৬২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাইকেল-প্রার্থীরা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত কেন্দ্র ছ’টি— কনৌজ, এটাওয়া, মইনপুরী, ফিরোজাবাদ, এটা ও বদায়ুন। এগুলি ‘যাদব গড়’ হিসেবে পরিচিত। শ্বশুর মুলায়ম সিং যাদবের ‘লেগ্যাসি’ ধরে রাখতে মইনপুরী থেকে লড়ছেন ডিম্পল। অখিলেশের তুতো ভাই আকাশ যাদব ফিরোজাবাদ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। পার্টি সুপ্রিমোর আরও এক তুতো ভাই আদিত্য বদায়ুন থেকে টিকিট পেয়েছেন। এটাওয়া ও এটাহ কেন্দ্র দু’টিতে লড়াই করছেন যাদব পরিবার ঘনিষ্ঠ জিতেন্দ্র দোহরে ও দেবেশ শাক্য। আগামী কাল, সোমবার এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
১৯৯৯ সালে এই আসন থেকে জিতেছিলেন মুলায়ম। ২০০০ সালের উপ নির্বাচন এবং ২০০৪ ও ২০০৯ সালে কনৌজ থেকে সাংসদ হয়েছিলেন মুলায়ম-পুত্র। আর ২০১২-এর উপ নির্বাচন এবং ২০১৪ সালে কনৌজের সাংসদ হয়েছিলেন মুলায়ম-পুত্রবধূ। তাই কনৌজের লড়াই অখিলেশের প্রেস্টিজ ফাইট! কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। তবে, অখিলেশকে ধাক্কা দিয়ে বড়সড় নজির গড়তে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথরাও। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো এখান থেকে বিএসপি ইমরান বিন জাফরকে প্রার্থী করেছে। সপার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতেই মায়াবতীর দলের এই স্ট্র্যাটেজি।
এই আসনের বিজেপি প্রার্থী বছর চুয়াল্লিশের সুব্রত দলের দীর্ঘদিনের কর্মী। একসময় ছিলেন যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সভাপতি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে অখিলেশের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সুব্রত। সেবার তিন নম্বরে স্থান হয়েছিল তাঁর। ২০১২ সালে উপ নির্বাচনে ও ২০১৪ সালে ডিম্পলের কাছে পরাস্ত হন। তারপরও মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। ২০১৯-এ সেই সুব্রতই হয়ে ওঠেন জায়ান্ট কিলার। এই লোকসভা কেন্দ্রটি পাঁচটি বিধানসভা এলাকা নিয়ে। এর মধ্যে বিধুনা ছাড়া বাকি চারটি বিজেপির দখলে। কেবলমাত্র বিধুনার বিধায়ক সপার। সব মিলিয়ে লড়াই জমজমাট।