প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
প্রত্যেক বুথে যত ইভিএম ব্যবহার হয় তার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা শতাংশের হিসেবে রিজার্ভ রাখা হয়। ভোটের দিন কোথাও কোনও ভোট যন্ত্র বিকল বা খারাপ হয়ে গেলে রিজার্ভ থেকে ইভিএম সেখানে পাঠানো হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ইভিএম কাজে লাগে না।
কিন্তু পূর্বে একাধিক সময় বিরোধীদের অভিযোগ তুলতে শোনা গিয়েছে, ইভিএম বদল করে দেওয়া হয়েছে বা পুরনো বদলে নতুন মেশিন ঢুকিয়ে ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করা হয়েছে ইত্যাদি। সে কারণেই এবার আরও বেশি সতর্ক কমিশন। স্ট্রং রুম থেকে যখন গাড়িতে করে এই বাড়তি ইভিএম আনা নেওয়া করা হবে তার উপর নজর রাখতে জিপিএসের সাহায্য নিচ্ছে তারা। আধিকারিকদের বক্তব্য, যেসব ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে তার আগে থেকেই সিরিয়াল নম্বর রয়েছে এবং সেটা কমিশনের নজরে আছেই। কিন্তু অতিরিক্ত যেসব ইভিএম রাখা হয় সেগুলি ব্যবহার না করা পর্যন্ত কোনও সিরিয়াল নম্বর থাকে না। অথচ দরকারের সময় স্ট্রং রুম থেকে গাড়ি করে সেগুলি সংশ্লিষ্ট বুথে পাঠানো হয়। যে কটা প্রয়োজন হলো ভোটকেন্দ্রে সেগুলি নামিয়ে বাকি আবার স্ট্রং রুমে ফিরিয়ে আনা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় গাড়িগুলি নজরের মধ্যে রাখতেই এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ ভুল করে হোক বা ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত ইভিএম এদিক-ওদিক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জিপিএসের মাধ্যমে সেই গাড়িটি ট্র্যাক করে ধরে ফেলা যাবে।