বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নিমরাজি হলেও এআইসিসির নির্দেশ মেনে নিয়ে বামেদের জেতা দুটি আসনের উপর থেকে নিজেদের দাবি তুলে নিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস। ঠিক হয়েছে, গত লোকসভায় যে ছটি আসনে বাম ও কংগ্রেস জিতেছিল, তাতে কেউ কারও বিরুদ্ধে লড়াই করবে না। এই সূত্রে রাজ্যের বাকি ৩৬টি আসনের বণ্টন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই পক্ষের। মোট ৪২ আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ১৭ আসন ছেড়ে বাকি ২৫ আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবে। সেখানেও কাঁটা রয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া। ওই আসনে ইতিমধ্যেই ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের প্রার্থীর নাম বামফ্রন্টের চেয়ারম্যানকে দিয়ে দিয়েছে। ওই আসনটি নিয়ে তারা কোনওমতেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি নয় বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। এদিকে কংগ্রেস বাঘমুণ্ডির দলীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতকে পুরুলিয়া কেন্দ্রে প্রার্থী করবে বলে তৈরি হয়ে রয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তাদের রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার বিরোধী, তাই তারা কোনও মতেই পুরুলিয়া আসনে লড়াইয়ের দাবি ছাড়তে রাজি নয়। বামফ্রন্টের তরফে এদিন রাতে রবিন দেব ও মৃদুল দে এবং কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও শঙ্কর মালাকার আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় বসিরহাট নিয়ে কংগ্রেস অনেকটাই নমনীয় বলে সূত্রের দাবি। দেখা যাচ্ছে, শেষ লগ্নে পুরুলিয়া বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতার অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সোমেনবাবু মনে করেন, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাহুল গান্ধী তাঁদের যে বার্তা দিয়েছেন, তা নিয়ে যেহেতু বামেদের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই তাই, আসন রফার বিষয়টিও অচিরে মিটে যাবে বলেই তিনি আশাবাদী। এছাড়া বারাসত ও কোচবিহার আসনেরও দাবিদার ফরওয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেস প্রথম দিকে ওই দুটি আসন চাইলেও, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আপসে রাজি। কিন্তু পুরুলিয়া নিয়ে অনড় কংগ্রেস। দক্ষিণবঙ্গের প্রতি জেলায় কংগ্রেস একটি করে আসনে লড়তে চায়। এছাড়া দার্জিলিং আসনেও তারা প্রার্থী দিতে আগ্রহী। আজ মঙ্গলবারও দুই পক্ষ আলোচনায় বসবে বলে স্থির করা হয়েছে।
এই পটভূমিতে আসন বণ্টন নিয়ে জট কাটাতে এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য আগেই আলোচনা করছেন। বামেদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেই আসনরফার কৌশল খুঁজছেন তাঁরা। বাম নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অনেকটাই জট কাটলেও একমাত্র পুরুলিয়া কাঁটা হয়ে রয়েছে। সূত্রের মতে, অন্য কয়েকটি আসন বাছাই নিয়েও দুই তরফে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে এদিন যে সদর্থক আবহে আলোচনা হয়েছে, তাতে এই বিরোধ মিটে যেতেও পারে বলে ওই সূত্রের দাবি। কংগ্রেসের এক নেতার মতে, শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে পুরুলিয়া নিয়ে বিরত করার বিষয়টি বামেদের দায়িত্ব। এখন তারা সেকাজে সফল হয় কি না, তার উপরেই নির্ভর করছে বাম কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী সমঝোতার ভবিষ্যৎ।