সংবাদদাতা, বনগাঁ: দুর্গাপুজোর তুলনায় কালীপুজোতেই বেশি আনন্দ হয় বাগদায়। এ এক কালীতীর্থ। আলোয় সেজে ওঠে বাগদা ব্লকের একাধিক এলাকা। তবে এবার যেন কিছুটা ভাটা পড়েছে সেই আনন্দে। কোনও মতে পুজো সারছেন উদ্যোক্তারা। বাগদা মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। কিন্তু পুজোর আগের বৃষ্টিতে জলমগ্ন অনেক চাষের জমি। ফলে মন খারাপ কৃষকদের। তাই কিছুটা হলেও আনন্দে ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন এলাকার অনেক বাসিন্দা। প্রতিবছর নতুন নতুন থিমে সেজে ওঠে বাগদা ব্লকের বাগদা, হেলেঞ্চা, নলডুগাড়ি, সিন্দ্রাণী সহ বিভিন্ন এলাকা। বাগদার উল্লেখযোগ্য পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বাগদা পল্লি উন্নয়ন তরুণ সঙ্ঘ, হেলেঞ্চা নবারুণ সঙ্ঘ, হেলেঞ্চা সবুজ সঙ্ঘ, হেলেঞ্চা স্পোর্টিং ক্লাব। তবে এবছর বড় পুজো থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে রেখেছে বাগদা পল্লি উন্নয়ন তরুণ সঙ্ঘ। কোনওমতে পুজো করছেন তাঁরা। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা পরিতোষ সাহা বলেন, এবছর আমরা বড় পুজো বন্ধ রেখেছি। এছাড়া অন্যতম পুজো সংগঠন হেলেঞ্চা সবুজ সঙ্ঘ।
এবছর তাদের থিম শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরী। কাঁচের প্যান্ডেল গড়ে তুলেছে হেলেঞ্চা স্পোর্টিং ক্লাব। তবে এলাকায় বড় বড় মণ্ডপ তৈরি হলেও মন খারাপ অনেকেরই। বাগদার এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জলের তলায় চাষের জমি। কাজ নেই। হাতে পয়সা না থাকলে মুখে হাসি থাকে না।
অন্যদিকে, বনগাঁর চাঁদপাড়ায় কালীপুজোয় বহু মানুষ ভিড় জমান। জাঁকজমকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তারা। বড় বড় থিমের পাশাপাশি সাবেকিআনায় গড়ে উঠেছে পুজো মণ্ডপ। আলোকসজ্জাতেও নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। - নিজস্ব চিত্র