প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ফি বছর নজর কাড়ে বারুইপুর প্রগতি সঙ্ঘের পুজো। এবার এদের থিমের নাম দীপাবলি। এই পুজো ৫৭ বছরে পড়ল। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তাপস ভদ্র বলেন, প্রদীপ হচ্ছে দীপাবলি থিমের মূল বিষয়। মণ্ডপের ভিতরে ছোট ছোট ঘরে প্রদীপ জ্বলবে। এর মধ্যে পুতুলরা আনন্দ করছে। এছাড়াও জালের ভিতরে ঝুলন্ত আলোর কাজ থাকবে। গ্রাম ও শহরের মানুষ দীপাবলি কীভাবে পালন করে, তা তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। বারুইপুরের পদ্মপুকুর ইয়ুথ ক্লাবের কালীপুজো ১০৪ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির এক কর্মকর্তা গৌতম দাস বলেন, এবারের থিম গুপি গাইন-বাঘা বাইনের ভূতের রাজা দিল বর। মণ্ডপে এলেই মন ভরে যাবে ছোট ছোট শিশুদের। ভূতের রাজা যে যে বর দিয়েছিল, তা সবই তুলে ধরা হবে কাজের মাধ্যমে।
বারুইপুর অজয় সঙ্ঘের পুজোর এবার হীরক জয়ন্তী। পুজো কমিটির এক কর্মকর্তা অনুপ ঘোষ বলেন, এবারের থিম স্বপ্নের প্রাসাদ। ভারতীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট যুক্ত পাথরের জটিল খোদাইয়ের উপর কাল্পনিক স্বপ্ন প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়েছে। মার্বেল ও পাথরের কাজ আছে। সামনে থাকবে ফোয়ারা, সঙ্গে ময়ূর। বাড়তি আকর্ষণ রাস্তার দু’ধারে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। পাশাপাশি, বারুইপুর রেলগেটের যুবশক্তি সঙ্ঘের পুজো এবার দ্বিতীয় বছরে পা দিয়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা মোজাফফর আহমেদ বলেন, এবারের থিম গ্রাম বাংলার সাবেকি ঘরে মহাকালী আসল ফিরে। পোড়ামাটির হাঁড়ি, ঘট, কলসি দিয়ে মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। থাকবে মায়ের মহাকালী রূপ।
বারুইপুরের পুরন্দরপুর মিতালি সঙ্ঘের এবারের থিম নীল আকাশের নীচে। এবারে এই পুজো ৬৫ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির কর্তা সুরজিৎ পুরকাইত বলেন, আকাশে পরি থেকে পাখি- সবই থাকবে। ময়ূরপঙ্খী ঘোড়া থাকবে সামনে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা হয়েছে। বারুইপুর সুপার স্টার ক্লাবের থিম কাচের স্বর্গ। পুজো কমিটির কর্তা দেবাশিস নস্কর বলেন, এবার আমাদের পুজো ৪১ বছরের। মণ্ডপের ভিতরে কাচের কাজের পাশাপাশি আলোর কাজও থাকবে।