প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বিদ্যাসাগর পল্লি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের পুজো এবার ২৭ বছরে পা দিয়েছে। পুজোর থিম, রূপান্তরের কালীকা। এখানে বড় আকর্ষণ লেজার শো। সূর্য ডোবার পর মণ্ডপে শুরু হবে আলোর খেলা। ফুটে উঠবে কালীর নানান রূপ-রক্ষা, আদ্যা, দক্ষিণা, চামুণ্ডা, ছিন্নমস্তা, শ্মশানকালী প্রত্যক্ষ করবেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপে দেবী থাকছেন যোগিনী সাজে। পুজো কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আমরাই প্রথম কালীপুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য লেজার শোয়ের ব্যবস্থা করেছি। আলোর মাধ্যমে মায়ের বিভিন্ন রূপ প্রত্যক্ষ করবেন দর্শনার্থীরা।’
সোদপুর শান্তি সম্মিলনীর পুজো এবার ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। কালীর সাবেকি সাজ। পুজোর সময় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ছবির প্রচারে আসবেন টলিউডের নায়ক ও নায়িকারা। পুজোর কয়েক দিন নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান ও আলোর মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তাপস দে বলেন, ‘পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এবার সোদপুরে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এলাকাবাসীর হৃদয় কাড়বে।’
জগৎজ্যোতি সঙ্ঘের পুজো ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। সুপ্রাচীন হরপ্পা মহেঞ্জোদাড়োর সভ্যতা ফুটে উঠেছে মণ্ডপসজ্জায়। সভ্যতার অগ্রগতির বাহন হিসেবে চাকাও ঠাঁই পেয়েছে মণ্ডপে। শিল্পীর কাজ নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের। প্রতিমাতেও অভিনবত্বের ছোঁয়া। শ্যামার পাশাপাশি কৃষ্ণের কালীয়া দমনের মূর্তিও নজর কাড়বে। পুজোর মুখ্য সংগঠক প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, ‘ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন সভ্যতার গর্বের ইতিহাস মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই থিম বেছে নিয়েছি। আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির শিকড় এত সহজে উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়।’
সাধুর মোড়ের দুর্বাদল ক্লাবের শ্যামাপুজো এবার ২৯ বছরে পা দিয়েছে। তাঁদের ৫৮ ফুটের তারা ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ঠাকুরের অপরূপ রূপে মুগ্ধ হচ্ছে আট থেকে আশি। মুক্তি সঙ্ঘের শ্যামাপুজো এবার ৭৪বছরে পা দিয়েছে। স্থায়ী মণ্ডপে কালীর নিত্যপুজো হয়। এখানে ২৫ ফুট উচ্চতার কালী প্রতিমা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। মতিনগর সুভাষ স্মৃতি ব্যায়াম সমিতির পুজো ৭৩ বছরে পা দিয়েছে। জাতীয় পাখি ময়ূর অবলম্বনে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। একাধিক বিশালাকার ময়ূর পেখম মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই পেখমের ভিতর দিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে হবে দর্শনার্থীদের।