প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জেলা সদর বারাসত শহরে কালীপুজোর খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। জৌলুসে পিছিয়ে নেই মধ্যমগ্রামও। কালীপুজোর ক’টা দিন এই দুই শহরেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। কালীপুজো দেখতে জেলা তো বটেই কলকাতা সহ ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসেন। বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম শহরের উপর দিয়েই গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও যশোর রোড। এছাড়াও রয়েছে টাকি রোড। এই তিন সড়কের ধারেই দুই শহরের অধিকাংশ বড় বাজেটের পুজো হয়। বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে ময়না পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বড় বাজেটের পুজো রয়েছে। বিকেল থেকেই বারাসত শহরে দর্শকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সারা রাত ধরে চলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখা। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে দুর্ঘটনা এড়িয়ে গাড়ির গতি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার জন্যই জাতীয় সড়কের ধারে কোনও রকমের স্টল করা যাবে না বলে উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত পুলিস জেলা। কিন্তু তা কতটা কার্যকর হয়েছে, সে প্রশ্ন থাকছেই। বাস্তব পরিস্থিতি অন্য কথা বলছে। একদিকে রাস্তা দখল করে বসেছে একাধিক খাবারের দোকান। পাশাপাশি রয়েছে খেলনা ও বিভিন্ন সংস্থার দোকান। ফলে, কোনও ক্রেতা এসে জিনিসপত্র কিনলে দখল হয়ে যাবে রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই পুলিসের শীর্ষকর্তাদের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু তাতেও ‘রাস্তাদখল’ নজরে পড়ে না। এদিকে, যশোর ও টাকি রোডের চিত্রটাও একই রকমের। প্রায় রাস্তার উপর চলে এসেছে দোকান। তাছাড়া বড় বড় আলোর তোরণ বসেছে রাস্তার উপর। ফলে, বিপদের ঝুঁকি থাকছেই। পুলিস কি শুধু নির্দেশ দিয়েই দায় এড়াতে পারে, প্রশ্ন তুলছেন শহরের নাগরিকরা। বারাসত পুলিস জেলার সুপার ও অতিরিক্ত সুপারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।