প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পাণ্ডুয়ার চন্দন স্মৃতি সঙ্ঘের এবারের থিম ‘মায়ের চোখে কালীয়দমন’। মণ্ডপসজ্জায় শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব সমস্ত ধারাকে এক ছাদের তলায় এনে দাঁড় করিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কৃষ্ণলীলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্ব কালীয় নাগকে দমন করা। বস্তুত সেই ঘটনাকে থিমের আকারে পেশ করতে চলেছেন উদ্যোক্তারা। তাহলে কালী কোথায়? তিনি দর্শক। কৃষ্ণলীলার সেই বিশেষ পর্ব তিনি দেখছেন। আর তাঁকে তা দেখাচ্ছেন শিব। পৌরাণিক বিষয়বস্তুকে আধুনিক রূপে দেখা যাবে চন্দনস্মৃতি সঙ্ঘের মণ্ডপে। থাকবে আলোকসজ্জাও। একাধিক তোরণ থেকে পথের ধারে রংবেরঙের আলোয় সেজে উঠবে মণ্ডপ। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। মণ্ডপসজ্জায় থাকছে আর্টের ব্যবহার। ক্লাব কর্তা অনুদ্যূতি চক্রবর্তী বলেন, দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই পুরাণ ও আধুনিক চিন্তার মিশেলে মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছে। মডেল থেকে মাটির প্রতিমা, আর্টের ব্যবহার আমাদের মণ্ডপে দেখা যাবে।
পুরাণ নয়, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে থিম ভাবনা ভেবেছে পশ্চিমপাড়া হাটতলা ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের পুজোয় থাকবে সাবেক কালীপুজোর দৃশ্য। জমিদারি নাটমন্দির, বিরাট আকারের তাণ্ডবরত কালী, ডাকের সাজ— সাবেক পুজোর যাবতীয় উপকরণকে তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। বাঁশ ও ফাইবারের মণ্ডপসজ্জায় থাকবে থিমের আলোকসজ্জা। দীপাবলি মাতিয়ে দিতে আলোকসজ্জাকে পাখির চোখ করেছেন উদ্যোক্তারা। সেখানে বাছা হয়েছে পরিবেশ সচেতনতার থিম। আলোকমালায় সাজিয়ে সেই ভাবনাকেই প্রকাশ করা হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে গাছ কেটে ফেলা, সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা সবই আলোর মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। ক্লাব কর্তা সুজিত কুণ্ডু বলেন, চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা ওই থিমের কাজ করছেন। ফলে, তা দীপাবলির রাতকে মোহময় করে তুলবে।
পুরাণ পেরিয়ে থিম পৌঁছেছে আধুনিকতার সীমানায়। নীরদগড়ের সবুজ সঙ্ঘ তাদের থিমকে পুরোদস্তুর আধুনিক সময়ে এনে ফেলেছে। শিশুর শৈশব ও মোবাইল ফোন, পড়াশোনার ইঁদুর দৌড় বনাম খোলা আকাশের ডাক— এই ভাবনাকেই থিমের মোড়কে পেশ করছেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপে থাকবে বিরাট আয়তনের একটি ঘড়ি। যা আসলে বিমূর্ত ভাবনার প্রকাশ। ক্লাব কর্তা সুজিত দত্ত বলেন, আগেকার শৈশব ও বর্তমানের শৈশব, এই ব্যবধানকে সামনে রেখেই আমরা দর্শকদের একটি অনন্য পুজো উপহার দেব।