হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
গত ১২ তারিখ জামাইষষ্ঠীর রাতে মে দিবস পল্লির নিজের বাড়িতে খুন হয়েছিল বিটেক ইঞ্জিনিয়ার অপূর্ব ঘোষ (২৬)। পুলিস তদন্তে নেমে অপূর্বের দিদি অলক্তিকা দাস ও জামাইবাবু সুদীপ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। এই খুনের কাণ্ডে যুক্ত সুদীপের মামা সঞ্জীব পাত্রকেও বড়বাজারের কাপড় দোকান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। এদিন সুদীপ ও সঞ্জীবকে এনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। পুলিস জেনেছে, স্রেফ সম্পত্তির লোভ ও ঝগড়ার জন্য পথের কাঁটা ভাইকে সরানোর ছক কষেছিল অলক্তিকা। সঙ্গে নিয়েছিল স্বামী ও মামা শ্বশুরকে। ঘটনার দিন রাতে সুদীপ ও সঞ্জীব প্রথমে দক্ষিণেশ্বরের ফলের দোকানে গিয়েছিল। দূর থেকে দেখে নিয়েছিল অপূর্ব এখানে নেই। এরপর তারা বাড়িতে এসে কলিং বেল দেয়। অপূর্ব তাদের দরজা খুলে ঘরে ঢুকিয়েছিল। ঘরে ঢুকেই তাঁরা স্বমূর্তি ধারণ করে। সামান্য বচসার পর সুদীপই প্রথম ভোজালি দিয়ে শ্যালকের মাথায় প্রথম কোপ মেরেছিল। এরপর বাউন্সারের কাজ করা সুদীপ শ্যালককে মেঝেতে ফেলে গলা চেপে ধরে রেখেছিল। তার মামা সারা শরীরে ১২টির বেশি কোপ মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিল, ‘শালাকে শেষ করে দিয়েছি।’ কাজ শেষ করে বাইক চালিয়ে মামাবাড়িতে পৌঁছেছিল সে। সেখানে ফের স্নান করে স্ত্রীকে নিয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে রাত ২টা নাগাদ ফিরে এসেছিল। এসে কান্নার নাটক শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, পরদিন ভাইয়ের দেহ সৎকারের জন্য ইলেকট্রিক চুল্লিতে ঢোকানের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিল দিদি। পাশে দাঁড়ানো আত্মীয়দের বলেছিল, ‘আমি ভাইয়ের সঙ্গে যাব। তোমরা আমাকে যেতে দাও।’
মৃত অপূর্বের মাসতুতো দাদা তমাল রাহা বলেন, ‘ভাইয়ের দেহের ময়নাতদন্ত, সৎকার সহ নানান কাজে অলক্তিকাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরেছি। ওর নাটক দেখে ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ হয়নি। দিদি হয়ে ভাইকে খুন করবে স্বপ্নেও ভাবিনি। এই নরপিশাচদের ফাঁসি চাই।’