হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
রাজ্যে একের পর অপারেশন চালানো সুবোধের গ্যাং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করেছে। ভিন রাজ্যে কিছু লুটের ঘটনায় তাদের কার্বাইন, এমনকী একে সিরিজের রাইফেল ব্যবহারের ছবিও ধরা পড়েছে। বিভিন্ন জায়গা ধরা পড়া কুখ্যাত ডনের টিম মেম্বারদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সুবোধের একটি ‘অস্ত্রাগার’ রয়েছে। যেখানে মজুত রয়েছে নাইন ও সেভন এম এম, ইনসাস, কার্বাইন,একে সিরিজের মতো আগ্নেয়াস্ত্র। যার সংখ্যা হাজারের উপর। ফোর্সের মতোই তাদের প্রতিবছর নির্দিষ্ট বরাদ্দ ধরা থাকে অস্ত্র কেনার জন্য। অস্ত্রাগারের দায়িত্বে রয়েছে সুবোধের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা দু-তিনজন। তারাই বিভিন্ন জায়গায় অপারেশেনের আগ্নেয়াস্ত্র পাঠায় পণ্যবাহী লরি বা গাড়িতে করে।
বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অফিসাররা জেনেছেন, গুলি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি টিম রয়েছে সুবোধের। যারা নিশানায়
অব্যর্থ। রীতিমতো বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে এই শ্যুটার টিম তৈরি করেছে ডন। তাদের পুলিসের কায়দায় প্রশিক্ষণ দিয়ে শার্প শ্যুটার বানিয়েছে ডন। নিয়ম করে তাদের অনুশীলনও চলে। সেখানে কেউ লক্ষ্যভেদে সামান্য ব্যর্থ হলেই তাকে টিম থেকে বাদ করে দেওয়া হয়। শ্যুটিং প্র্যাকটিসের জন্য গুলি আসে মুঙ্গের থেকে। এমনকী বাহিনীর একাংশের মাধ্যমে কার্তুজ জোগাড় করে সুবোধ। জেল থেকে ভিন রাজ্য কাঁপানো এই ডনের শার্প শ্যুটারের সংখ্যা প্রায় একশো ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে বাংলার ১২ জন রয়েছে। এরা প্রত্যেকে কোন না কোন ছোটখাটো ঘটনায় ধরা পড়েছে। জেলে গিয়ে পরিচয় হয়েছে সুবোধের দলের কোনও সদস্যদের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমেই তারা ‘সিং কোম্পানি’তে ভিড়ে বিহারে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। তারা এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে। ডাক এলেই অপারেশন চালাতে ছুটছে বিভিন্ন রাজ্যে। বেলঘরিয়ায় গুলি চালানোর ঘটনায় এই রাজ্যের সেরকম কোনও শ্যুটার রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। যার পরিচয় জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অফিসাররা।