হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
আগামী মাস থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধি অর্থাত্ ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) ও ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে লাগু হচ্ছে যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩। তার আগে দেশের বিভিন্ন শহরে এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করছে মন্ত্রক। এদিন শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে ‘ইন্ডিয়াজ প্রোগ্রেসিভ পাথ ইন দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম’ শীর্ষক তৃতীয় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, ‘ইংরেজরা ভারতীয়দের দণ্ড দেওয়ার জন্য ভারতীয় দণ্ড সংহিতা এনেছিল। নরেন্দ্র মোদি ভারতবাসীকে ন্যয় দিতে চান। তাই উনি নিয়ে এসেছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। এই পার্থক্য আপনাদের বুঝতে হবে। দেশ, কাল, পরিস্থিতির সঙ্গে আইনেও বদল আসবে। অনেকে বলছেন, কনসাল্টেশন সম্পূর্ণ হয়নি। আমি আপনাদের বলছি, ১৮টি রাজ্য, ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, দেশের প্রধান বিচারপতি, ১৬টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, ৫টি ল অ্যাকাডেমি, ২২টি আইন বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪২জন লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য, ২৭০ জন বিধায়ক সহ একাধিক এজেন্সি ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে। চার বছর ধরে কাজ চলছে। ল কমিশন অব ইন্ডিয়া সহ একাধিক সংস্থার পরমার্শ নেওয়ার পর আইন হয়েছে।’ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞাননম বলেন, ‘ন্যয় সংহিতাতে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে অর্গানাইজড ক্রাইম, পিটি অর্গানাইজড ক্রাইম, স্ন্যাচিং ও মব লিঞ্চিং এবং সন্ত্রাসবাদকে।’ এছাড়া, পুলিসের তদন্ত প্রক্রিয়ায়ও আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়। তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নয়া আইনে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ , ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ নিয়ে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় অসংখ্য আইনজীবী, কেন্দ্রীয় পুলিস ও এজেন্সি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।