হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সোনা অনেকদিন ধরেই এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল। মাথায় রাজনৈতিক দাদাদের হাত থাকায় তালতলা, পার্ক স্ট্রিট এলাকার পুরোটাই সে নিয়ন্ত্রণ করত। এলাকায় বহুতল নির্মাণ ও বেআইনি কল সেন্টার খুললে সোনাকে দিতে হতো ‘রংদারি ট্যাক্স’। ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, তার বাড়িতে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের অপরাধীদের যাতায়াত রয়েছে। কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় বিভিন্ন অপরাধে যুক্তরা সোনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত অভিযুক্ত। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র বৈধ করার জন্য লাইসেন্স তৈরি করে দেওয়ার ব্যবসাও খোলে সোনা। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে নাগালান্ডে অস্ত্রের লাইসেন্স তৈরি করিয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের দালালের পরিচয় হয়। তাদের মাধ্যমে সে প্রথমে নিজের জন্য ছ’টি আর্মস লাইসেন্স করায়। ভুয়ো ঠিকানায় নেওয়া নাইন এমএম পিস্তলের এই লাইসেন্স দেশের যে কোনও প্রান্তে ব্যবহারের অনুমতি ছিল। সেই কাগজ দেখিয়েই এই আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল সে। তা দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি করত বলেও অভিযোগ।
নিয়মানুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ভিন রাজ্যের হলে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাতে হয়। যাচাই করে দেখা হয়, যিনি এই লাইসেন্স তৈরি করিয়েছেন, তিনি সত্যিই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের যোগ্য কি না। এক্ষেত্রে লালবাজার বা স্থানীয় থানায় এই সংক্রান্ত কোনও কাগজই জমা করেনি সোনা। তারপরেও এতদিন কী করে সে এই অস্ত্র ব্যবহার করল, এবং সেই বিষয়টি গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে গেলই বা কীভাবে, তাই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এরপর সে মোটা টাকার বিনিময়ে অপরাধজগতে জড়িতদের নাগাল্যান্ড থেকে লাইসেন্স পাইয়ে দিতে শুরু করে। কারা অস্ত্রগুলি নিয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। মির্জা গালিবের ঘটনার দিন, তার কাছে যে আগেয়াস্ত্রটি ছিল, সেটিরও লাইসেন্স নাগাল্যান্ডের কি না, তা যাচাই করার কাজ চলছে।