হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই উপনির্বাচন হয়েছে এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও। ফল ঘোষণা হয়েছে ৪ জুন। দুটি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। তারপর ১২ দিন কেটে গেলেও দুই নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির শপথগ্রহণ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই রাজভবনের তরফে। তাঁদের শপথ গ্রহণে বিলম্ব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, শপথগ্রহণের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত চিঠি বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে ইতিমধ্যেই রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, তার কোনও উত্তর রাজভবন এখনও পর্যন্ত দেয়নি। শনিবার রাত পর্যন্ত রাজভবন এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি দেয়নি, জানিয়েছেন এক পদস্থ কর্তা। সব মিলিয়ে জল্পনা বাড়ছে। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহল উভয়ের ব্যাখ্যা, এবারও উপনির্বাচনে জয়ীদের শপথ রাজ্যপাল নিজে পাঠ করালেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রসঙ্গত, বরফ মাঝে কিছুটা গলেছিল। কিন্তু রাজ্য-রাজভবন সম্পর্কের মধ্যে ফের একটা টানাপোড়েনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শপথে দেরি নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রাজ্যের মন্তব্য, রাজভবনের মুখে বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকানো, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষা ব্যাবস্থাকে পঙ্গু করে দেওয়ার অভিযোগ প্রভৃতি ইস্যুতে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। ওইসঙ্গে রাজভবনে নিযুক্ত পুলিস অফিসারদের বদলি চেয়ে রাজ্যপালের চিঠি উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে জয়ীদের শপথগ্রহণ বিধানসভায়, না রাজভবনে হবে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। তবে সূত্র মারফত আরও খবর হল, চলতি সপ্তাহের শেষে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং তা রাজভবনেই। এই উপলক্ষ্যে রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো শুরু হবে শীঘ্রই।