হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে বারাসতের কাজীপাড়া এলাকায় এক কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। কিশোরের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন পরিবারের লোকজন। সেই জল্পনা অবশ্য নস্যাৎ করে দেন চিকিৎসক ও পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা বলা হয়। মৃত কিশোরের শরীরের সমস্ত অঙ্গই যথাস্থানে রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। তারপরেও এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অঙ্গ পাচারের গুজবে ইতি পড়েনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এনিয়ে নানা জনের নানা মত ও আশঙ্কা সামনে আসছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক। বারাসত জেলা পুলিসের কর্তারা বলছেন, কিছু ‘অতি সক্রিয়’ লোকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব রটাচ্ছেন। সুস্থ ও স্বাভাবিক জনজীবনে গুজব ছড়ানো অপরাধমূলক কাজের মধ্যে পড়ে। এর পিছনে একটি সংগঠিত চক্র রয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা। সেই চক্রকে ঘায়েল করতেই বিশেষ টিম গঠন করেছে পুলিস। বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পাচার নিয়ে গুজব রটাচ্ছেন, এরকম বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। পুলিসের একটি টিম ও সাইবার সেল সক্রিয়ভাবে এই কাজ চালাচ্ছে। কেউ যদি ভাবেন, গুজব রটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব করে ফেলবেন, তাহলে তাঁর কপালে কষ্ট রয়েছে। আমরা প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব।’ তিনি আরও জানান, একাধিক কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে যেসব দাবি সামাজিক মাধ্যমে ধুরছে, সেরকম কোনও তথ্য পুলিসের কাছে নেই। এটাও গুজব। তাই সমস্ত বিষয়টি অত্যন্ত কড়াভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।