হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, গণ্ডগোলের মূলে এলাকার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। শালিমার স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় পার্কিং চালানো এবং এলাকায় প্রমোটিংয়ের ইমারতি সামগ্রী সরবরাহের কাজে ‘দাদাগিরি’ চালাতে চায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। শনিবার রাতে একটি টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে দুইপক্ষের মধ্যে। বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরে তা মিটেও যায়। রবিবার সেই সমস্যা মেটাতে ফের বৈঠক করে দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা। সেই বৈঠকে সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়ার বদলে পরিস্থিতির অবনতি হয়। একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে হাতাহাতি, পরে তা লাঠালাঠিতে রূপান্তরিত হয়। সেখান থেকে উত্তাপ বাড়তে থাকে। শুরু হয় একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। দুই গোষ্ঠীর তরফেই ভাঙচুর করা হয় এলাকার একাধিক অস্থায়ী দোকান, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। বেশ কিছু গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে এজেসি বোস বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগ, পুলিসের সামনেই চলে সংঘর্ষ। শুধু তাই নয়, ঘরে ঢুকে মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিসের পদস্থ কর্তারা। নামানো হয় র্যাফ। তাণ্ডবকারীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় র্যাফ। দুই পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে তারা। দীর্ঘক্ষণ বাদে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিসের তরফে চারজনকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, আটক ব্যক্তিরা এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কৃর্মের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি নিয়ে হাওড়া পুলিসের সেন্ট্রাল ডিভিশনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, আমরা দু’পক্ষের তরফেই কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে চারজনকে আটক করা হয়েছে। টোটো রাখাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পার্কিং দখল বা সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। এদিকে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপির দাবি, স্থানীয় তৃণমূলের মধ্যে এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চলছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই অশান্তির সঙ্গে জড়িত। যদিও বিষয়টি নিয়ে পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই সংঘর্ষের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।