মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার বেলা বাড়ার পর এক পশলা বৃষ্টি শুরু হতেই সৌমিত্রবাবুর মতো চোখ-মুখ প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থা কুলতলির দেউলবাড়ির অন্যান্য বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, নদী বাঁধের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ভারী বৃষ্টি হলেই সর্বনাশ। ক্ষতি হবে বাঁধের। রেমালের চরিত্র উম-পুন, আয়লার মত মত বিধ্বংসী হবে কী? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে দেউলবাড়ি সহ সমগ্র কুলতলিতে। এদিন অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি থেমে যায়। রোদ্দুরের দেখা মেলে। তারপর খানিকটা ভয় কমে কুলতলির। শুক্রবার দিনভর মেঘ আর রোদ্দুরের খেলা চলেছে কুলতলিতে। মেঘ দেখলেই ভয়ে সিঁটিয়ে উঠেছেন বাসিন্দারা।
এদিন বৃষ্টির তেজ বাড়তেই ভয় বেড়েছে দেউলবাড়ি, কাঁটামারি, শানকিজাহান, ভুবনেশ্বরী, পয়লার ঘেরি এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের। সবাই ভোরেই ছুটে গিয়েছেন নদীর পাড়ে জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে কী না দেখতে। আবার কখনও রোদ বাড়তেই চওড়া হয়েছে মুখের হাসি। তবে মনে সর্বদাই উঁকি মারছে তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমাল কতটা দাপট দেখাবে এই প্রশ্ন। গোপালগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল মণ্ডল বলেন, দুর্যোগ এলেই আতঙ্ক বাড়ে আমাদের। কখন কী হয় জানি না। ঝড়বৃষ্টির দাপটে নদীর বাঁধ ভাঙলেই জল ঢুকবে গ্রামে। তাই নদীর জল বাড়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সারাবছরই লেগে আছে। রাত পাহারা দিতে হবে নদীর পাড়ের মানুষজনকে। গৃহবধূ প্রণতি ঘোষ বলেন, উম-পুন, আয়লার ক্ষত এখনও আছে। ঘরবাড়ি সব চলে গিয়েছিল। আবার অনেক কষ্টে ঠিক করে বাস করছি। এবার সকাল থেকে একবার আকাশ মেঘলা আবার রোদের ঝলকানি। রেমাল ঝড় আয়লা, উমপুনের মত হবে না তো? হাওয়া জোরালো হলে আর বৃষ্টির তেজ বাড়লেই ভয় লাগছে।