মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপি নেতৃত্ব গোটা বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। বিজেপি’র রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, দলীয়স্তরে এ বিষয়ে খোঁজ নেব। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বিকাশ বলেন, রানাবাবু ভোটের কাজের জন্য দলের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা তিনি বুথ কমিটিগুলিকে দেননি। এ নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম। এদিন আমাকে ত্রিবেণী বাজারের একটি গলির মধ্যে তিনি দেখা করতে বলেন। সেখানে আমি যাওয়ার পরেই তিনি আমাকে বলেন, তুই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিস। তারপর আমার উপর হামলা চালানো হয়। আমার গলা টিপে, জলে মাথা চুবিয়ে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছিল। আমি কোনওমতে পালিয়ে এসেছি। এনিয়ে অভিযুক্ত রানাবাবু বলেন, ওই যুবক ভোটপর্বে বারবার দলের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে। ভোটের দিন তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমি ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তাতে ও জানিয়েছে, বিজেপি আর করবে না। মারধর করা সহ যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই যুবক স্থানীয় মাফিয়াদের দয়ায় জীবনযাপন করছে। তাদের কথাতেই বিজেপি’র বিরুদ্ধে কুৎসা করতে নেমেছে। দল আমার কাছে টাকার হিসেব চাইলেই আমি দিয়ে দেব।
গোটা ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সহ সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, সাধারণ মানুষের ভোট গোপন থাকছে না, এ নিয়ে ওই বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। এটাই সবচেয়ে উদ্বেগের। আমরা কমিশনের কাছে এনিয়ে তদন্ত দাবি করব। পাশাপাশি, এটাও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বিজেপিতে গণতন্ত্র নেই।
ভোটের আগে থেকেই বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপিতে বারবার ডামাডোল দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি আদি ও নব্য বিজেপি’র মধ্যেও দ্বন্দ্ব আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিশ্বাস ও তাঁর সঙ্গীরা আগে থেকে বিজেপি করেন। রানা মুখোপাধ্যায় আগে তৃণমূল করতেন। পরে বিজেপিতে এসে নেতা হয়ে বসেছেন।