গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পি উদয়কুমার রেড্ডি বুধবার স্বীকার করে নেন, ৩১ মার্চ মেধা রেকগুলির এএমসি শেষ হয়ে গিয়েছে। মেট্রোর নিজস্ব কর্মীরাই এবার থেকে রেকগুলির প্রয়োজনীয় মেরামতি করবেন বলেও জানান তিনি। যদিও মেট্রোর অপারেশন বিভাগের ওই অফিসারের দাবি, সমস্ত মেট্রো রেকের দায়িত্বে থাকা ‘রোলিং স্টক’ বিভাগে স্থায়ী কর্মীর আকাল চলছে। এখন রক্ষণাবেক্ষনের কাজ মূলত করে বেসরকারি এজেন্সি। তাঁর ব্যাখ্যা, এই মুহূর্তে ‘মেধা রেক’ ছাড়াও কলকাতা মেট্রোতে ১৩টি ‘বিএইচইএল রেক’ রয়েছে। এই বিভাগের প্রথম দু’টি রেক ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর যাত্রী পরিষেবা শুরু করে। সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এগুলি। অন্যদিকে, অত্যাধুনিক সফ্টওয়্যার দ্বারা চালিত মেধা রেকগুলিতে কলকাতা মেট্রোর কর্মীরা সাধারণত হাত দেন না। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সেগুলির নিয়মিত সংস্কার ও মেরামতির কাজ ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররাই করতেন। ফলে মেট্রোর নিজস্ব কর্মী বা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লোকেদের পক্ষে মেধা রেকের ‘রোগ উপশম’ করা কঠিন।
আয়ের নিরিখে ভারতীয় রেলের সবচেয়ে লোকসানে চলা জোন কলকাতা মেট্রো। দেশের অন্যান্য রাজ্যে নতুন মেট্রো করিডর শুরু করতে গড়ে তিন থেকে পাঁচ বছর লাগলেও এখানে তা ১০ থেকে ১৫ বছর লেগে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মেট্রোকর্তাদের একাংশের গা-ছাড়া মনোভাবকেই দায়ী করেছে রেল বোর্ড। তাই বলা হয়েছে, কলকাতা মেট্রোকে আয় বাড়াতে হবে। উদাহরণ দিয়ে এক মেট্রোকর্তা আরও বলেন, ‘কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মেট্রো রুটের যাবতীয় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলে গিয়েছিল। কিন্তু এক বছর ফেলে রেখে গত মার্চে সেই রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু হয়। তারপরও সেখানে যাত্রী হচ্ছে না।’ স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা মেট্রোর কর্তাদের অদূরর্শিতা নিয়ে। মাঝখান থেকে ঝুঁকির যাত্রায় বাধ্য হচ্ছেন কোটি কোটি যাত্রী।