প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই বাঙালি নৃত্যশিল্পীকে। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন রাজ্যপাল। মাস আটেক আগে এই মর্মে নবান্নে ই-মেল করে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। সেই অভিযোগপত্র লালবাজারে পাঠিয়ে দেয় নবান্ন। সম্প্রতি সামনে এসেছে সেই ঘটনা। লালবাজার সূত্রে খবর, নৃত্যশিল্পী জানিয়েছেন, আমেরিকার ভিসা ও এনআরআই স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা সহজে মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই দিল্লির ওই হোটেলে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নিজের সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই সেখানে হাজির হন রাজ্যপাল। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তিনি ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করেন বলেই অভিযোগ। সংবিধান অনুযায়ী কর্তব্যরত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। তবে নৃত্যশিল্পীর অভিযোগ মোতাবেক ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে লালবাজার। তার রিপোর্টও নবান্নে পাঠিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। কী রয়েছে সেই রিপোর্টে? তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ লালবাজার। রাজভবনের তরফেও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
লালবাজার জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী পেশায় ওডিশি নৃত্যশিল্পী। তাঁর স্বামী প্রবাসী। সাংসারিক অশান্তির জন্য সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন মহিলা। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, একটি নৃত্যানুষ্ঠানেই রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলাপ এবং মোবাইল নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কথার সূত্র ধরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার কথা জানতে পারেন বোস। তিনি বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। অভিযোগকারিণী পুলিসকে আরও জানিয়েছেন, বিদেশমন্ত্রীকে বন্ধু বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তা-ই নয়, বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গেও বিশেষ সখ্যের কথা জানান। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মহিলাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান তিনি। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি দিল্লি যান ওই নৃত্যশিল্পী। তাঁর বিমানের টিকিট, পাঁচতারা হোটেলের ঘর সবকিছুই আগাম ‘বুক’ করা ছিল। সেই কাজ করে দেন রাজ্যপালের এক আত্মীয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে ‘ভাইপো’ বলে সম্বোধন করেন বোস। জানা গিয়েছে, পরদিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। সেখানে বঙ্গভবনে ছিলেন তিনি। তারপর প্রাইভেট গাড়ি বুক করে ওই পাঁচতারা হোটেলে যান। সেখানে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যপালের ওই ‘ভাইপো’কে তলব করা সত্ত্বেও তিনি লালবাজারে হাজিরা দেননি। সেখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে অনুসন্ধানকারীদের। একইসঙ্গে¸ নৃত্যশিল্পী সাতমাস পর কেন অভিযোগ করলেন, প্রশ্ন তা নিয়েও।