প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
হ্যাঁ, ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। আপনাকে এমন কিছু অ্যাপের সন্ধান দেওয়া হচ্ছে, যেখান থেকে অনায়াসে টাকা ধার করতে পারবেন। নো ঝঞ্ঝাট। শুধু একটা ফর্ম পূরণ করতে হবে। আর আপনার সরকারি পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি সংশ্লিষ্ট অ্যাপে আপলোড করতে হবে। তাহলেই কেল্লা ফতে! মিনিট খানেকের মধ্যে আপনার প্রদত্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে টাকা। অবশ্যই তার জন্য আপনাকে সুদ দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সেই টাকা শোধও করতে হবে। তাই খুব ভালো করে জেনে বুঝেই ধার নেওয়া উচিত। কারণ বাংলা একটা প্রবাদ আছে— ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’ যাইহোক, সেরকমই কিছু অ্যাপের তুল্য-মূল্য বিশ্লেষণ করা হল —
ক্রেডিট বি: প্লে স্টোরে গিয়ে ক্রেডিট বি বলে সার্চ করলেই এই অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন। দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বা লোন নেওয়া যায়। এই অ্যাপে চাইলেই আপনি আপনার ইচ্ছে মতো টাকা ধার বা ঋণ করতে পারবেন না। অ্যাপের দ্বারা নির্ধারিত টাকাই নিতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনার ঋণ পরিশোধের সময় দেখে আপনার লোনের পরিমাণ বাড়ানো হবে। এই অ্যাপে আধার কার্ডের মাধ্যমে লোনের আবেদন করলে খুব সহজেই টাকা পাওয়া যায়। এখানে ১ থেকে ৩ শতাংশ সুদ দিতে হয়।
সিম্পল: ইংরেজিতে লিখতে গেলে এই অ্যাপের বানান simpl। এখানে দুই হাজার টাকা থেকে ঋণ পাওয়া যায়। তবে এই টাকা আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাবেন না। এই টাকার মাধ্যমে আপনি মোবাইল রিচার্জ, ইলেকট্রিক বিল মেটাতে পারবেন। এছাড়াও এই টাকা বিভিন্ন অ্যাপ যেমন, জোমাটো, র্যাপিডো প্রভৃতি জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাপ থেকে নেওয়া ঋণে কোনও সুদ নেই। প্রতি মাসের দশ তারিখে ব্যবহৃত টাকা পরিশোধ করতে হবে। না হলেই জরিমানা দিতে হবে।
ধনী: এই অ্যাপ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে। তবে এখানে সুদের পরিমাণ ১২ শতাংশ। প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।
নিরা: আপনার বেতন যদি কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা হয় তাহলেই এই অ্যাপ থেকে আপনি লোন নিতে পারবেন। এই অ্যাপে লোন ক্যালকুলেটরও রয়েছে। তার ফলে আগেই দেখে নিতে পারবেন নিদিষ্ট সময়ের পরে আপনাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনার চাকরির সময়কাল কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
আর্লি স্যালারি: এটি বেশ জনপ্রিয় অ্যাপ। তবে শুধুমাত্র চাকুরিজীবীদের জন্য। এখান থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য মেট্রো শহরের জন্য কমপক্ষে ১৮ হাজার বেতনের চাকরি করতে হবে। অন্য ক্ষেত্রে বেতনের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা।
পে সেন্স: চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী যে কেউ এই অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারেন। পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। চাকুরিজীবী হলে বেতন হতে হবে ১২ হাজার টাকা। অন্যথায় ১৫ হাজার টাকা। শেষ তিন মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও দরকার।
মানিট্যাপ: এই অ্যাপের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এখান থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য পরিচয় পত্র, ঠিকানার প্রমাণ এবং যে সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন সেই সংস্থার নাম এবং ‘অফিশিয়াল’ ইমেল আইডি দরকার। এখান থেকে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা লোন পেতে পারেন।
এখানই শেষ নয়। এরকম প্রচুর অ্যাপ রয়েছে। সঠিক কাগজপত্র আপলোড করলেই লোন মিলবে। তবে অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার সময় প্লে স্টোরে রেটিং অতি অবশ্যই দেখে নেবেন। কোম্পানির ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নেবেন। প্লে স্টোরে উপভোক্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা কী বলছেন, সেগুলোও ভালো করে পড়ে নেবেন। বেশিরভাগ অ্যাপেই লোন পরিশোধের মূল্য হিসেবে কত টাকা দিতে হবে, সেটাও দেখিয়ে দেয়। লোন প্রসেসিং ফি এবং জিএসটি যোগ করে মোট কত টাকা হচ্ছে সবদিক ভালো করে দেখে নিয়ে তবেই লোন নেওয়া উচিত।