ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
গত এক দশকে বড় মঞ্চে বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছে জার্মানির। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘটে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ২০১৬ ইউরোতে সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেও, গতবার (২০২০) রাউন্ড অব সিক্সটিনে থামে তাদের অভিযান। চলতি আসরে অবশ্য শুরুটা দারুণ করেছে নাগেলসম্যানের ছেলেরা। ঘরের মাটিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে ডেনমার্ককে সহজেই বশ মানান মুসিয়ালারা। তাই শুক্রবার স্পেনের বিরুদ্ধে বিনা লড়াইয়ে তাঁরা যে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেবেন না, তা বলাই যায়। জার্মানি বরাবরই পাওয়ার ফুটবলে বিশ্বাসী। মাঝমাঠে টনি ক্রুজ, গুন্ডোগান বল ধরে খেলতে পারেন। আপফ্রন্টে কাই হাভার্টজ, মুসিয়ালার মতো তরুণ তুর্কি নিয়মিত জাল কাঁপাচ্ছেন। তবে রক্ষণের পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে কোচকে। বিশেষত লেফট উইং-ব্যাকে দুর্বলতা বারবার প্রকট হয়েছে। তাই এই জায়গাটাই কাজে লাগাতে চাইবেন স্পেন কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে। সেই কথা মাথায় রেখে দলে পরিবর্তনের পথে হাঁটতে পারেন জার্মান কোচ। তাঁর কথায়, ‘প্রতি ম্যাচেই উন্নতির জায়গা রয়েছে। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে প্রথম ২০ মিনিট দল দারুণ ফুটবল মেলে ধরে। তবে তারপর কিছুটা হলেও আমরা ছন্দ হারাই। স্পেনের বিরুদ্ধে তেমনটা ঘটলে চলবে না।’
দারুণ ছন্দে রয়েছে স্পেনও। ২০২২-২৩ উয়েফা নেশনস লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ইউরোর আসরেও সেই ছন্দ ধরে রেখে দাপটের সঙ্গে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেন মোরাতা-পেড্রিরা। চার ম্যাচে ন’বার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন স্প্যানিশ অ্যাটাকাররা। জার্মানির বিরুদ্ধেও সেই দুরন্ত ফর্ম বজায় রাখাই লক্ষ্য কোচ ফুয়েন্তের। পাসিং ও প্রেসিং ফুটবলে প্রতিপক্ষের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছেন লামিলে ইয়ামাল-নিকো উইলিয়ামসরা। গোলের মধ্যে রয়েছেন ফাবিয়ান রুইজ। তবে আলভারো মোরাতার অফ ফর্ম কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে স্পেন কোচকে। শেষ কয়েক দশকে জার্মানিকে বারবার টেক্কা দিলেও শুক্রবার লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা ভালোই জানেন এই অভিজ্ঞ কোচ। তাঁর কথায়, ‘জার্মানি খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে তারা নিজেদের মতোই একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। আমাদের হারানো সহজ নয়।’