ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
হ্যারিকেন বেরিল’র কারণে তিনদিন বার্বাডোজে আটকে ছিল ভারতীয় দল। অবশেষে বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কার্যকলাপ শুরু হওয়ায় চার্টার ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরাহরা। সাপোর্ট স্টাফ, বোর্ডকর্তা ও প্লেয়ারদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে প্রায় ৭০ জনকে নিয়ে লম্বা সময় পাড়ি দিয়ে দিল্লি পৌঁছবে এই উড়ান। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ তা অবতরণ করবে ভারতের রাজধানীতে। দেশে ফেরার পর সকাল ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন ক্রিকেটাররা। তারপর মুম্বই রওনা হবেন রোহিতরা। বিকেলে আরব সাগরের তীরে বইবে উৎসবের জোয়ার। নরিম্যান পয়েন্ট থেকে শুরু হবে বিজয় যাত্রা। হুডখোলা বাসে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে থাকবেন রোহিত, বিরাটরা। প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তায় হবে ভিকট্রি প্যারেড। এরপর সন্ধ্যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ভারতীয় দলের হাতে পুরস্কার হিসেবে ১২৫ কোটি টাকা তুলে দেবেন বিসিসিআই কর্তারা। সেখানেই বোর্ড সচিবের হাতে টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেবেন অধিনায়ক রোহিত।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের অবশ্য বুধবার সন্ধ্যা ৭-৪৫ মিনিট নাগাদ দেশে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু বিসিসিআই যে চার্টার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল তা আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে রওনা হয়ে বার্বাডোজে পৌঁছয় দেরিতে। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তা রওনা দেবে। কিন্তু বিমানটি রাত দুটোর সময় পৌঁছয় বার্বাডোজে। ফলে রোহিতদের নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ে বুধবার ভোর ৪-৫০ মিনিটে। বৃহস্পতিবার সকালেই তা পৌঁছবে দিল্লি।
এয়ার ইন্ডিয়ার ওই চার্টার ফ্লাইট নিয়ে অবশ্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিউ জার্সি থেকে দিল্লি আসার কথা ছিল ওই বিমানের। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতিতে রোহিতদের আনতে বার্বাডোজে যেতে হয়েছে ওই উড়ানকে। ফলে দিল্লি আসার জন্য যে যাত্রীরা টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা অসুবিধায় পড়েন। এই ব্যাপারে দ্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিডিসিএ) রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে। তারা অবশ্য জানিয়েছে যে, অধিকাংশ যাত্রীকেই সূচিতে বদলের কথা অগ্রিম জানানো হয়েছিল। যাঁদের তা জানানো সম্ভব হয়নি,তাঁদের সড়কপথে নিউ ইয়র্কে পৌঁছে অন্য ফ্লাইটে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।